সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

সতীর্থদের প্রশংসায় তামিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সতীর্থদের প্রশংসায় তামিম

মেহেদী হাসান মিরাজকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে এলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান। তিন ওয়ানডে সিরিজে টাইগাররা হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিকদের -এএফপি

টেস্টে ৭ ও ১০ উইকেটে হার। টি-২০ সিরিজেও হেরেছে ৩৫ রানে এবং ৫ উইকেটে। টানা দুটি সিরিজ হারের ধাক্কা সামলে ওয়ানডে সিরিজে কতটা ভালো করবে তামিম বাহিনী, ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে সংশয় ছিল। সেই সংশয়, শঙ্কা কাটিয়ে তামিমের নেতৃত্বে দারুণ ক্রিকেট খেলেছে টাইগাররা। ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিধ্বস্ত করে ৩-০ ব্যবধানে জিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে। এ নিয়ে ক্যারিবীয়দের তৃতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। ২০০৯ ও ২০২১ সালে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষ দেশগুলোকে ১৬ বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করেছে টাইগাররা।

ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করতে তামিমের নেতৃত্বে দারুণ ক্রিকেট খেলেছেন লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলামরা। তিন ম্যাচে ১১৭ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছেন টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম। শেষ ওয়ানডেতে বিধ্বংসী বোলিং করেছেন বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল এবং হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন লিটন। গোটা দলের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত টাইগার অধিনায়ক তামিম। প্রশংসা করেছেন নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজের, ‘ব্যাটিং লাইন আপের শীর্ষ ৫ ব্যাটসম্যানের তিনজনকেই পাইনি আমরা। অন্যদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ ছিল। আমার মনে হয় ওরা দারুণভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে। বিশেষ করে সোহান। যখনই সুযোগ পেয়েছে, সে ঠান্ডা মাথায় ও ধীরস্থির হয়ে খেলেছে। আজকেও (পরশু রাতে) যেমনটি দেখিয়েছে। খুব ভালো ব্যাট করেছে।’ টেস্ট ও টি-২০ খেললেও ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন না দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। হজের জন্য সফর করেননি মুশফিকুর রহিম। ইনজুরির জন্য সরে দাঁড়ান ইয়াসির আলি ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

বৃষ্টিস্নাত প্রথম ওয়ানডে টাইগাররা জিতেছে ৬ উইকেটে। ম্যাচটিতে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন শরিফুল, মেহেদী হাসান মিরাজ, তামিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয়টিতে জয় পায় ৯ উইকেটে। দারুণ বোলিং করেন দুই স্পিনার নাসুম ও মিরাজ। অধিনায়ক খেলেন ৫০ রানের হার না মানা ইনিংস। তৃতীয় ওয়ানডেতে লড়াই করেছে ক্যারিবীয়রা। ২৮ মাস পর খেলতে নেমে বাজিমাত করেন বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন ২৮ রানের খরচে ৫ উইকেট নিয়ে। তাইজুলের দারুণ প্রশংসা করেন অধিনায়ক, ‘তাইজুলের নাম বলতেই হবে। সফরে সে দলের সঙ্গে ছিল। কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। প্রতিটি অনুশীলন সেশনে সে ছিল। অবশেষে সে খেলার সুযোগ পেল এবং নিজেকে মেলে ধরল। প্রাপ্তি তাই বেশ কিছু আছে।’ ২২ টি-২০ খেলার পর ওয়ানডে খেলেন নাসুম। অভিষেক ম্যাচে উইকেট না পেলেও মিতব্যয়ী বোলিং করেছিলেন। ম্যাচসেরা হন দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এবং তৃতীয়টিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন। তৃতীয় ওয়ানডেতে উইকেট পাননি। কিন্তু প্রথম দুই ওয়ানডেতে জয়ের ভীত তৈরি করেন মেহেদী মিরাজ। স্পিনারদের প্রশংসা করেন তামিম, ‘নাসুম ও মিরাজ দারুণ বোলিং করেছেন। শুধু স্পিনাররাই নয়, দলের সবাই দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ। বাংলাদেশের পরবর্তী সফর জিম্বাবুয়ে। দেশে ফিরে এক সপ্তাহের মধ্যে উড়ে তিনটি করে টি-২০ ও ওয়ানডে খেলতে জিম্বাবুয়ে যাবে টাইগাররা। 

 

সর্বশেষ খবর