শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

পেশারদার ফুটবলে কে সেরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পেশারদার ফুটবলে কে সেরা

ঘরোয়া ফুটবলে যত ফোকাশ দুই বিদেশিকে ঘিরে। রবসন রবিনহো না ড্যানিয়েল কলিন ড্রেস- কে সেরা এ নিয়ে ফুটবল-প্রেমীদের বিতর্কের শেষ নেই। ঢাকা ফুটবলে ১৯৭৪ সাল থেকেই বিদেশিদের আগমন। পাকির আলী, প্রেমলাল, নালজেগার, ঝুকভ, এমেকা, বিজন তাহেরি, পলিনকভ, রহিমভ। সামির সাকি ও করিম মোহাম্মদের মতো বিশ্বকাপের তারকারা আশির দশকে খেলে গেছেন। সনি নর্দেও পেশাদার লিগে মাঠ কাঁপিয়ে গেছেন। কিন্তু রবসন ও কলিন ড্রেসকে ঘিরে যে আলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে তা অতীতে দেখা যায়নি। কারণ একটাই, দুজনার পারফরমেন্সে দর্শকরা মুগ্ধ। একজন ব্রাজিলিয়ান, আরেকজন কোস্টারিকান। এমন না যে, পেশাদার লিগে দুজন দীর্ঘ দিন ধরে খেলছেন। দুই মৌসুম খেলেই এরা সবার নজর কেড়েছেন। যা অন্য বিদেশি ফুটবলারদের বেলায় ঘটেনি।

কলিন ড্রেস পেশাদার লিগে বসুন্ধরার জার্সি গায়ে জড়ান অভিষেক আসরেই। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা কোস্টারিকান কলিন ড্রেসকে এনে হইচই ফেলে দেয় কিংস। অনেক দিন পর ঘরের মাঠে মানসম্পন্ন বিদেশির দেখা মেলে। অভিষেক আসরে বসুন্ধরাকে চ্যাম্পিয়ন করানোর পেছনে মূল ভূমিকা রাখেন কলিন ড্রেসই। এবার তিনি আবাহনীতে খেললেও পারফরমেন্সের ঘাটতি নেই, দারুণ খেলেছেন। গত মৌসুমে রবসনের দেখা মেলে কিংসে। দর্শকদের মুগ্ধ করে ছাড়েন। নিজে গোল করছেন। সতীর্থদের করাচ্ছেন, এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। কিংসের টানা দুই বার লিগ জয়ের পেছনে রবসনের অবদান ভোলবার নয়। সামনের মৌসুমেও কিংসে তাকে দেখা যাবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, কে সেরা? রবসন না কলিন ড্রেস। এ ব্যাপারে সাবেক খেলোয়াড় ও ফুটবল বিশ্লেষক গোলাম সারোয়ার টিপু বলেন, ‘দুজনই দূরন্ত খেলেন। ওদের পারফরমেন্সের কারণে মরা পেশাদার লিগে প্রাণ ফিরেছে। তবে মানের দিক দিয়ে আমি রবসনকে এগিয়ে রাখব। কমপ্লিট প্লে-মেকার। নিজেই আক্রমণের উৎস তৈরি করেন। যা কলিন ড্রেসের নেই। হয়তো বয়সের কারণে তার গতি কমে গেছে। রবসন যেন প্রতিজ্ঞা করে মাঠে নামেন দলকে জেতাতেই হবে। তার কিছু গোল আমার কাছে বিশ্বমানের মনে হয়েছে।’ জাতীয় দলের সাবেক কোচ মারুফুল হক বলেন, ‘কে সেরা এ নিয়ে আমি বিতর্কে যাব না। তবে কলিন ড্রেসের তুলনায় রবসনের পারফরমেন্স আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি বলব, বিদেশি আনলে এমন মানসম্পন্ন বিদেশি ফুটবলার আনা উচিত। যাদের কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে।’

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘কলিন ড্রেসের দম আগের মতো নেই। সে ক্ষেত্রে আমি রবসনকে অপ্রতিরোধ্য বলব। ও শুধু নিজে খেলে না, অন্যদেরও খেলায়। ফুটবল ১১ জনের খেলা হলেও রবসন মাঠে থাকলে দুশ্চিন্তা থাকে না। বসুন্ধরা কিংস সত্যিই ভাগ্যবান এমন কোয়ালিটি সম্পন্ন ফরেনার আনতে পেরেছে।’ আরেক সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘রবসন মাঠে চিতা বাঘের মতো চেয়ে থাকে। শিকারে তাকে সহযোগিতা করতে হয় না। নিজেই যথেষ্ট। সে ক্ষেত্রে কলিন ড্রেস বেশ পিছিয়ে। তবু এবার আবাহনীর এতদূর আসার পেছনে তার বড় ভূমিকা ছিল।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর