রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

শিরোপা জিতলেও প্রাইজ মানি মিলছে না কিংসের!

বসুন্ধরা কিংস লিগ জিতেছে। ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপের ট্রফি ঘরে তুলেছে। চ্যাম্পিয়নের প্রাইজ মানি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। প্রাইজ মানি মেটানোর কোনো খবর নেই। লজ্জার বিষয় হচ্ছে পুরস্কার হিসেবে অস্কার ও কলিনড্রেসকে দুটি হোন্ডা দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।

মনোয়ার হক

শিরোপা জিতলেও প্রাইজ মানি মিলছে না কিংসের!

পাঁচ মৌসমে ফুটবলে ছয় শিরোপা। ঘরোয়া ফুটবলে এ-এক বিরল রেকর্ড। নতুন দল হিসেবে বসুন্ধরা কিংস যা অর্জন করেছে তা অন্য ক্লাব পারেনি। ২০১৮-১৯ মৌসুমে অভিষেক ঘটিয়ে দেশের ফুটবলে কিং বনে গেছে বসুন্ধরা কিংস। এমন কোনো ট্রফি নেই যে, যা কিংসের জেতা হয়নি। টানা তিন অর্থাৎ পেশাদার লিগে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন। সেই সঙ্গে ফেডারেশন কাপ দুবার ও স্বাধীনতা কাপে একবার চ্যাম্পিয়ন। পেশাদারিত্বের যুগে শিরোপা জেতার মতো দল গড়তে কত টাকা ব্যয় করতে হয় তা সবারই জানা। বিশেষ করে বিষয়টি ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা আরও ভালোভাবে জানেন।

ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন তো দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার ছিলেন। কোচেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি ও প্রফেশনাল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদীও তো এক সময় মাঠ কাঁপিয়েছেন। দুই ফুটবল ব্যক্তিত্বের ফুটবল জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নেই। তবুও তারা কেন এত অবুঝ। লিগ যে মাঠে গড়াচ্ছে ও শেষ হচ্ছে এর বড় অবদান তো ক্লাবগুলোর।

বড় দলের কথা বাদই দিলাম। মাঝারি মানের দল গড়তে এখন কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। পেমেন্ট দিতেই হবে না হলে ফিফার কাছে নালিশ চলে যাবে।

দল গড়ার অর্থ তো বাফুফে দেয় না। দেওয়ার কথাও নয়। কিন্তু প্রফেশনাল লিগে যা প্রাপ্য তা ক্লাবগুলোকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় না কেন? বসুন্ধরা কিংস লিগ জিতেছে। ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপের ট্রফি ঘরে তুলেছে। একাধিক চ্যাম্পিয়নের প্রাইজ মানি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি তাদের। অথচ ট্রফি বিতরণের সময় অর্থের পরিমাণ বড় করে লিখে তা তুলে ধরা হয়। প্রাইজ মানি মেটানোর কোনো খবর নেই।

এবার দেওয়া হবে কি না কে জানে। কিংসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘হুট করে হিসাব দেওয়া মুশকিল। তবে বকেয়ার অর্থের পরিমাণ অর্ধকোটি ছাড়িয়ে গেছে তা আমি নিশ্চিত।’ কোনো প্রতিষ্ঠান যখন বাফুফের সঙ্গে স্পন্সরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করে তখন কিছু শর্ত থাকে। প্রাইজ মানি যখন দেওয়া হচ্ছে না তখন কি এ চুক্তি মানা হচ্ছে? লজ্জার বিষয় হচ্ছে, পুরস্কার হিসেবে অস্কার ও কলিনড্রেসকে দুটি হোন্ডা দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। অথচ দুটো হোন্ডাই নাকি বাফুফে পেয়ে গেছে আগে। তাহলে তা গেল কোথায়। মিলছে না অংশগ্রহণ মানিও। বিস্ময় হলেও সত্যি, ঘরোয়া ফুটবলকে সচল রেখেছে বসুন্ধরা গ্রুপই। প্রায় প্রতিটি লিগের স্পন্সর এ প্রতিষ্ঠান। ফুটবলের দুর্দিনে যা বাফুফের জন্য বড় স্বস্তিই বলা যায়। পেশাদার লিগ নিয়ে এ প্রহসনের শেষ কোথায়? এ ভাবেই কি চলবে ফেডারেশন।

সর্বশেষ খবর