ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সেঞ্চুরি এবং ক্যাপ্টেন দিমুথ করুণারতেœর হাফ সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কা রানের পাহাড় গড়েছে। জয়ের জন্য তারা পাকিস্তানকে টার্গেট দিয়েছে ৫০৮ রানের। গলেতে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান করেছে বাবর আজমের দল। এখনো ৪১৯ রান প্রয়োজন পাকিস্তানের।
এই টেস্টে পাকিস্তানের জয়ের আশা প্রায় অসম্ভব! তবে ম্যাচ বাঁচাতে হলে সারা দিন বাইশগজে কাটিয়ে দিতে হবে। অন্যদিকে, লঙ্কানদের জয়ের জন্য দরকার আরও ৯ উইকেট। আলোক স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা আগেই শেষ হয়েছে গতকাল।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেছেন ডি সিলভা। ৬১ রান করেছেন করুণারতেœ। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে জয়ের আশা ব্যক্ত করেন ডি সিলভা, ‘আমাদের টার্গেট থাকবে সকালে দ্রুত উইকেট নেওয়া। বোলারদের কাজ হচ্ছে এক জায়গা বোলিং করা।’পাকিস্তান গতকাল এক উইকেট হারালেও বাইশগজে আছেন নির্ভরতার প্রতীক ক্যাপ্টেন বাবর আজম। তিনি নট আউট ২৬। আরেক প্রান্তে আছেন ওপেনার ইমাম-উল-হক, ৪৬ রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ৩৪২ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েও হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা।
মজার বিষয় হচ্ছে, ৪১৯ রানে পিছিয়ে থাকলেও জয়ের আশা ছেড়ে দেয়নি পাকিস্তান! ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘বাবর ও ইমাম দারুণ ব্যাটিং করছেন। ওরা যদি শেষ দিনেও এমনভাবে ব্যাটিং করতে পারেন তাহলে ভালো কিছুই হবে।’
এই টেস্টে জিতলে হলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে হবে পাকিস্তানকে। টেস্টে শেষ ইনিংস সর্বোচ্চ ৪১৮ রানের টার্গেট তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখান দেখার বিষয়, পাকিস্তান টেস্টে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে জয়লাভ করে নাকি শ্রীলঙ্কা জিতে সিরিজে সমতা আনে!