শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

টি-২০ লড়াই শুরু কাল

টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আগামীকাল শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। ৩০ ও ৩১ জুলাই এবং ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের খেলা।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টি-২০ লড়াই শুরু কাল

অক্টোবরে টি-২০ বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ তৈরি করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। আইসিসি সহযোগী দেশগুলোর বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে জিম্বাবুয়ে জায়গা নিয়েছে ২০ ওভারের বিশ্বকাপে। অবশ্য টি-২০ বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্ব খেলতে ক্রেইগ আরভিন, সিকান্দার রাজারা আবার ৮ দলের বাছাইপর্ব খেলবে। সেখান থেকে দুই গ্রুপের দুটি করে মোট ৪ দল চূড়ান্তপর্বে খেলবে। বাংলাদেশ সরাসরি খেলবে চূড়ান্তপর্বে। বাছাইপর্ব টপকে চূড়ান্তপর্বে জায়গা নিলেই জিম্বাবুয়ের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আগামীকাল শুরু হচ্ছে দুই দলের তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। ৩০ ও ৩১ জুলাই এবং ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের খেলা। খেলাগুলোর ভেন্যু হারারে স্পোর্টস কাউন্সিল। একই ভেন্যুতে ৫, ৭ ও ১০ আগস্ট তিনটি ওয়ানডে খেলবে দুই দেশ। বাংলাদেশ সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফর

করেছিল ২০২১ সালের জুলাইয়ে। টাইগাররা সিরিজ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। অধিনায়ক ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৩৩ টি-২০ খেলা সোহান এই প্রথম বাংলাদেশকে টি-২০ ফরম্যাটে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হারারেতে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে সোহানরা মুখোমুখি হচ্ছেন আত্মবিশ্বাসী ক্রেইগ আরভিনের জিম্বাবুয়ের।

এই বছর তৃতীয় টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-২০ সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছিল টাইগাররা। এরপর দ্বিতীয় সিরিজ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। পরের দুটি হেরে যায় যথাক্রমে ৩৫ রানে ও ৫ উইকেটে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে রান করলেও টি-২০ সিরিজে ছন্দ ছিল না মাহমুদুল্লাহর। ব্যাটিংয়ে ছন্দ হারিয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে টি-২০ সিরিজে বাদ পড়েন। অবশ্য ওয়ানডে সিরিজে রয়েছেন। টি-২০ সিরিজে মাহমুদুল্লাহ’র জায়গায় দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় সোহানের হাতে। সোহানের অধিনায়কত্বে তৃতীয়বারের মতো টাইগাররা জিম্বাবুয়ে সফরে গেছে। ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টি-২০ সিরিজ খেলেছে আফ্রিকান দেশটিতে। বুলাওয়ে কুইন্স স্পোর্টস পার্কে প্রথম ম্যাচে টাইগাররা হেরেছিল ৬ রানে। জিম্বাবুয়ের ৫ উইকেটে ১৬৮ রানের বিপক্ষে টাইগারদের সংগ্রহ ছিল ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬২ রান। ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন শামসুর রহমান শুভ (৫৩) ও সাকিব আল হাসান (৬৫) দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পায় ৪৩ রানে। তামিম ইকবালের ৪৩ ও সাকিবের ৪০ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে সাকিবের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয়বার টাইগাররা জিম্বাবুয়ে সফর করে ২০২১ সালের জুুলাইয়ে। সর্বশেষ সফরের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা জয় পায় ৮ উইকেটে। স্বাগতিকদের ১৫২ রান টপকে যায় টাইগাররা ৭ বল হাতে রেখে ২ উইকেট হারিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচ ২৩ রানে জিতে সিরিজে সমতা আনে জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকদের ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৬ রানের জবাবে টাইগারদের ইনিংস থেমে যায় ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে। তৃতীয় ম্যাচে পর্বতসমান স্কোর টপকে যায় টাইগাররা। স্বাগতিকদের ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান টপকে যায় টাইগাররা ৪ বল হাতে রেখে। সৌম্য সরকারের ৬৮ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।

ছন্দ নেই বলে এবার সিরিজে জায়গা হয়নি সৌম্যের। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে সফরে যাননি সাকিব। বাদ পড়েছেন দুই সিনিয়র মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ। টি-২০ বিশ্বকাপ ও ভবিষ্যৎকে সামনে রেখে বিসিবি সোহানের নেতৃত্বে তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দিয়েছে। তরুণ ক্রিকেটারদের খেলতে হবে আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর