রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

হারে শুরু সোহানের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হারে শুরু সোহানের

২০০ রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার ২১৪ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা। গতকাল হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরও একটি রেকর্ড গড়ার হাতছানি ছিল বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০৬ রান টপকে রেকর্ড গড়তে পারত। কিন্তু পারেনি। হেরে যায় ১৭ রানে। গত জুলাইয়ে এই মাঠে জিম্বাবুয়ের ১৯৩ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। হারের ম্যাচে টাইগার ব্যাটাররা বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি। দায়িত্বশীল কোনো পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসও ছিল না। গতকাল ২০৬ রানের টার্গেটে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করে বাংলাদেশ। আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচে জয় না পেলেও রান করেছেন নুরুল হাসান সোহান। ২৬ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন টাইগার অধিনায়ক। ম্যাচে ব্যাটারদের মতো ব্যর্থ ছিলেন বোলাররাও। মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিংয়ে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ।         

টি-২০ ক্রিকেটে তামিম ইকবালের উত্তরসূরির তালিকায় নতুন নাম মুনিম শাহরিয়ার। কিন্তু ২৪ বছর বয়সী মুনিম আস্থা দিতে মেলাতে পারছেন না টিম ম্যানেজমেন্টকে। ব্যর্থ হয়েছেন দুই অংকের রান করতে। লিটন দাস রান আউট হয়েছেন বোকার মতো। সপ্তম ওভারের শেষ বলে শিন উইলিয়ামসকে স্কুপ খেলেন লিটন। শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ মিস করেন জিম্বাবুয়ের এনগারাভা। ক্যাচ মিস খেয়াল না করে এনামুল হক বিজয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে রান আউট হন ব্যক্তিগত ৩২ রানে। লিটনে ১৯ বলের ইনিংসে ছিল ৬ চার। এনামুল ২৬ রান করেন ২৭ বলে ২ ছক্কায়। এছাড়া নাজমুল শান্ত ৩৭, আফিফ ১০, মোসাদ্দেক সৈকত ১৩ রান করেন। যদিও শুরুটা ভালোই ছিল সোহান বহিনীর। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৬০ রান করে।     

অধিনায়কত্বের অভিষেকে টস জিততে পারলেন না বাংলাদেশের অষ্টম টি-২০ অধিনায়ক সোহান। টস জিতে ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ে প্রথমবারের মতো টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুইশ’র উপর স্কোর গড়ে। সিকান্দার রাজা ও ওয়েসলি মাধেভেরের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান করে জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের বিপক্ষে দেশটির আগের সর্বোচ্চ ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান। ২০২১ সালের জুলাইয়ে স্কোরটি করেছিল। নিজেদের টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসে জিম্বাবুয়ের এটা তৃতীয় দুইশোর্ধ্ব স্কোর। চলতি মাসে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বুলাওয়েতে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩৬ রান জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২০০ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। গতকাল পাওয়ার প্লেতে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪৩ এবং ১০ ওভারে ৭৪ রান। শেষ ১০ ওভারে মাধেভেরের ৪৬ বলে ৬৭ ও রাজার ২৬ বলে ৬৫ রানে ভর করে ১৩১ রান করে ১০ ওভারে। ১৬-২০ ওভারে রান সংগ্রহ করে ৭৭। মুস্তাফিজের শেষ ওভারে ১৯ রান নেন রাজা। বাঁ হাতি পেসার ৪ ওভারে রান দেন ৫০। সিকান্দার রাজা ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও

৪টি ছক্কা। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে মাধেভেরের ৬৭ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি চার। স্বাগতিক ব্যাটারদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে কোনো টাইগার বোলারই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পারেননি। অকেশনাল অফ স্পিনার মোসাদ্দেক সৈকত ৩ ওভারে ২১ রানের খরচে ১ উইকেট নেন। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর