শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

আট হাজারি ক্লাবে তামিম

হারে শুরু ওয়ানডে সিরিজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আট হাজারি ক্লাবে তামিম

দারুণ ব্যাটিং করছেন, শুধু এমন নয়। দলও পরিচালনা করছেন দারুণভাবে। ব্যাট হাতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে। তামিম ইকবাল; বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। বহু রেকর্ডের স্রষ্টা। একের পর এক রেকর্ড গড়ার কারিগর টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথম ম্যাচে মেলে ধরেন নিজেকে। গড়েন নতুন একটি রেকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বর্ণিল ৮ হাজারি ক্লাবের সদস্য হয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে ৩৩ নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে এ রেকর্ড গড়েন। অবশ্য প্রথম টাইগার ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১০০ ছক্কার মালিকও বাঁ হাতি ওপেনার।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে গতকাল ক্যারিয়ারের ৫৪ নম্বর হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন। ৮৮ বলে ৮ চারে ৬২ রানের ইনিংস খেলে নাম লিখেছেন সাঈদ আনোয়ার, হাশিম আমলাদের মতো ক্রিকেটারদের তালিকায়। মাইলফলক গড়েন টাইগার অধিনায়ক ৫৩ রান থেকে সিকান্দার রাজাকে বাউন্ডারি মেরে। অবশ্য রাজার বলেই সাজঘরে ফেরেন। ২২৯ ম্যাচের ২২৭ ইনিংসে তামিম ইকবালের রান ৮০০৫। ৩৭.০৬ গড়ের ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরি ১৪ ও হাফ সেঞ্চুরি ৫৪ এবং ছক্কা ১০০ ও বাউন্ডারি ৮৭৭টি।

টি-২০ সিরিজের মতো প্রথম ওয়ানডেতেও টস হেরেছে গতকাল। ব্যাটিংয়ে উপরের সারির প্রথম চার ব্যাটারের হাফসেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৩০৩ রান করে টাইগাররা। নিজেদের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে যা ২৩ নম্বর তিনশোর্ধ্ব স্কোর এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ষষ্ঠ। আফ্রিকান দেশটির বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলগত স্কোর ৪৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২২, সিলেটে ২০২০ সালে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে সর্বোচ্চ ইনিংস ৮ উইকেটে ৩২০ রান। দুই টাইগার ওপেনার তামিম ও লিটন ২৫.৪ ওভারে ১১৯ রানের ভিত দেন। রাজাকে উড়িয়ে মারার খেসারত গোনেন অধিনায়ক তামিম ব্যক্তিগত ৬২ রানে সাজঘরে ফিরে। ৩৪ নম্বর ওভারে লিটন রিটায়ার্ড হার্ট হন। রাজার বলে অন সাইডে ঠেলে দ্রুত সিঙ্গেল নেওয়ার সময় পায়ের মাসলে টান পরে। দলের স্কোর তখন ১৭১ এবং লিটন ব্যাট করছিলেন ৮১ রানে। ৮৯ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও একটি ছক্কা। লিটনের ইনজুরির পর এনামুল হক বিজয় ও মুশফিকুর রহিম জুটি বাঁধেন। শুরুতে ধীরলয়ে ব্যাট করা এনামুল আউট হন দলীয় ২৬৭ রানে। ৬২ বলে ৭৩ রানের ইনিংস তার ৩৯ ম্যাচ ক্যারিয়ারের চার নম্বর। সর্বশেষ হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৪ সালের নভেম্বরে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এনামুলের বিদায়ের পর দুই সাবেক অধিনায়ক মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে স্কোর ৫০ ওভারে ৩০৩ রানে নিয়ে যান। মুশফিক ক্যারিয়ারের ৪২ নম্বর হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ৫২ রানে। মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ২০ রানে।

তামিম বাহিনী ১০ ওভারের পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫১ রান করে।  প্রথম ১০০ রান করতে ১৩৯ বল খরচ হয়। দ্বিতীয় ১০০ রান আসে ৮৯ বলে। শেষ ১০০ রান হয় মাত্র ৭০ বলে। তবে শেষ ৫ ওভারে রানের গতি ছিল ধীর। মাত্র ৩৯ রান যোগ করে তামিম বাহিনী।

ওয়ানডেতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৮ হাজার রান করেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার, ২১৭ ম্যাচের ২১০ ইনিংসে। সবচেয়ে কম ইনিংসে ৮ হাজার রান করেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান টেন্ডুলকারের, ১৮ হাজার ৪২৬। ৮ হাজারি ক্লাবের সদস্যরা- সাঈদ আনোয়ার, চন্দরপাল , যুবরাজ, ডেসমন্ড হাইন্স, রস টেইলর, মার্ভান আতাপাত্তু, মার্ক ওয়াহ, বীরেন্দার শেভাগ, হাশিম আমলা, হাশেল গিবস, শহীদ আফ্রিদি ও স্টিফেন ফ্লেমিং।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর