শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ছক্কাই লক্ষ্য সিডন্সের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ছক্কাই লক্ষ্য সিডন্সের

এশিয়া কাপের দলগত অনুশীলন শুরু হয়নি এখনও। ব্যক্তিগত অনুশীলন করছেন টাইগার টি-২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, এনামুল হক বিজয়রা। টাইগার ক্রিকেটারদের টেকনিক নিয়ে কাজ করছেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। গতকাল ইনডোর স্টেডিয়ামে সিডন্স লম্বা সময় ব্যয় করেছেন মিরাজের সঙ্গে। স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজকে সুইপ ও রিভার্স সুইপ শেখাচ্ছিলেন। সেন্ট্রাল উইকেটে লম্বা সময় ব্যয় করেছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে নিয়েও। বিজয় নিয়মিত ওপেনার, স্পেশালিস্ট ব্যাটার। তার ফুটওয়ার্ক, বডি মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করেছেন ব্যাটিং কোচ। শুধরে দিচ্ছিলেন তার টেকনিকও। মুশফিককে লম্বা লম্বা ছক্কা মারার টেকনিক শিখিয়ে দিচ্ছিলেন। টাইগার অধিনায়ক সাকিবও লম্বা লম্বা ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন। কোচ সিডন্স উইকেটের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্যাগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন সাকিবকে। গত কয়েকদিনের মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের চিত্র এমনই। 

২৭ আগস্ট শুরু এশিয়া কাপ। বাংলাদেশের প্রথম খেলা ৩০ আগস্ট। আসরের জন্য চমকে দেওয়া স্কোয়াড ঘোষণা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। হার্ড হিটিংয়ের জন্য তিন বছর পর ফেরানো হয়েছে সাব্বির রহমানকে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাকিবকে। পুরো কোচিং স্টাফ যোগ দেওয়ার পর শুরু হবে দলের অনুশীলন। সাকিব অবশ্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফিটনেস বাড়াতে রানিং ও জিম করছেন। একই সঙ্গে ব্যাটিংও করছেন। স্কোয়াডে নেই দেশের সেরা দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তামিম বিদায় বলেছেন টি-২০ ক্রিকেটকে। লিটন আহত হয়ে এক মাস মাঠের বাইরে। দলে একমাত্র জেনুইন ওপেনার এনামুল বিজয়। তাকে ঘিরেই পরিকল্পনা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কথা বলেছেন সিডন্স, অধিনায়ক সাকিব ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে। গতকাল বিসিবি সভাপতি হঠাৎ হাজির হন মিরপুরে। ঘণ্টাখানেক সেখানে ছিলেন। তিনিই জানিয়েছেন ওপেনার হিসেবে এনামুলই প্রথম চয়েজ। তবে অপশন রয়েছে অনেক। তাহলে নতুন বলে এনামুল বিজয়ের সঙ্গী কে? অধিনায়ক সাকিবসহ নাম আলোচনায় রয়েছে মুশফিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, পারভেজ হোসেন ইমন ও শেখ মাহাদি হাসানের নাম। প্রয়োজনে সাকিব ওপেন করতেই পারেন। টাইগার অধিনায়ককে এনামুল বিজয়ের সঙ্গে ওপেন করতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যদিও ৯৯ টি-২০ ম্যাচে কখনোই ওপেন করেননি সাকিব। মুশফিক তার ১০০ টি-২০ ম্যাচে একবার মাত্র ওপেন করেছেন। ২০১৯ সালে মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওপেন করে ৫ বলে ৩ রান করেছিলেন। মাহাদিও ৩৬ টি-২০ ক্যারিয়ারে একবার ওপেন করেছেন। মিরাজ ২০১৮ সালে ওয়ানডে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওপেন করেছিলেন। এদের মধ্যে থেকেই কেউ একজন হবেন। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ওপেনিংয়ে তামিম নেই, লিটন নেই। তাই এখানে একটা বড় গ্যাপ রয়েছে। ইমন আসতে পারে। শেখ মেহেদি ঘরোয়াতে ওপেন করত, মেহেদী মিরাজও ওপেন করত। মুশফিকও আছে। পুরোটাই নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর।’

বাংলাদেশে নেই কোনো পাওয়ার হিটার। যখন তখন ছক্কা হাঁকানোর মতো ব্যাটারও নেই। ছক্কা হাঁকানোর কাজটি শেখাবেন ব্যাটিং কোচ সিডন্স। বিসিবি সভাপতি তেমনই বলেন, ‘ক’দিন আগে সিডন্স আমার বাসায় এসেছিলেন। কিছু বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। যদি জিততে, কিংবা ভালো করতে চাই, তাহলে টি-২০-এর ভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ১৩০ করে ম্যাচ জেতা যাবে না। ১৮০-২০০ করতে হবে। আমাদের যে পরিকল্পনা, ওটার কোনো লক্ষণ দেখছি না। এটা নিয়ে নতুন করে কী করা যায়, আমরা আলোচনা করেছি। জেমি তখন বললেন, তিনি পাওয়ার হিটিংয়ে খুবই আগ্রহী।’ বিসিবিও আগ্রহী সিডন্সের বিষয়ে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর