বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
এশিয়া কাপ

আমিরাতে অনুশীলন শুরু সাকিবদের

২৭ আগস্ট আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ। সাকিব বাহিনীর প্রথম ম্যাচ ৩০ আগস্ট, শারজাহতে। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল খেলবে সুপার ফোরে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আজহার হোসেন সান্টু বর্তমান সময়ের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ভুলে যাওয়া এক নাম। ক্যারিয়ারে ৭টি ওয়ানডে খেলেছেন মাত্র। হাফসেঞ্চুরি একটি। শারজাহতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৪ রানের ইনিংসটি আবার আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম। ১৯৯০ সালে শারজাহতে ৬ জাতি অস্ট্রেলেশিয়া কাপে খেলেছিল বাংলাদেশ। টাইগাররা সেবারই প্রথম ‘মরু রাজ্য’ সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলেছিল। ওই আসরের প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন আজহার সান্টু। ৩২ বছর আগে আরব আমিরাতে প্রথম খেলার পর এবার চতুর্থবারের মতো খেলবে টাইগাররা। চারবারের তিনবারই আবার এশিয়া কাপ। ১৯৯৫ ও ২০১৮ সালের আসর দুটি ছিল এশিয়া কাপ। এবারও এশিয়া কাপ খেলবে। এবারকার আসরের আবেদন একেবারেই ভিন্ন। অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-২০ বিশ্বকাপ। তার প্রস্তুতি হিসেবে ৬ জাতির এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো হবে ২০ ওভারের। আসরে অংশ নিতে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন দুবাই। পরশু মধ্যরাতে দুবাই পৌঁছায় টাইগাররা। আজ অনুশীলন শুরু করবে নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত ‘টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট’ শ্রীধরন শ্রীরামের তত্বাবধানে। টাইগাররা অংশ নেবে নতুন অধিনায়ক সাকিবের নেতৃত্বে।    

আসরের ৫ দল টেস্ট খেলুড়ে দেশ-বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাকি দল নির্বাচিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং, সিঙ্গাপুর ও কুয়েতের বাছাইপর্ব থেকে। আসরে বাংলাদেশের গ্রুপে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। আরেক গ্রুপ দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান এবং বাছাইপর্ব থেকে আসা দল। ২৭ আগস্ট আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ। সাকিব বাহিনীর প্রথম ম্যাচ ৩০ আগস্ট, শারজাহতে। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল খেলবে সুপার ফোরে। টাইগার অধিনায়ক সাকিবেরও টার্গেট সুপার ফোর, ‘আমাদের যে দল, তাতে সুপার ফোর খেলতেই পারি।’ এশিয়া কাপের ফাইনাল ১ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে। সাকিব বাহিনী আসরে অংশ নিচ্ছে স্কোয়াডের নিয়মিত তিন ক্রিকেটার লিটন দাস, ইয়াসির আলি ও হাসান মাহমুদকে ছাড়া।

১৯৯০ সালে বাংলাদেশ খেলেছিল অস্ট্রেলেশিয়া কাপ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি হেরেছিল ১৬১ রানে। ব্ল্যাক ক্যাপসরা রান করেছিল ৪ উইকেটে ৩৩৮। আজহার সান্টুর ৫৪ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল ৭ উইকেটে। ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান করেছিল টাইগাররা। ১৯৯৫ সালে শারজাহতে বসেছিল এশিয়া কাপ। সেবার ৩টি ম্যাচ খেলে হেরেছিল সবগুলোতেই। ১৬৩ রান করে ভারতের কাছে হেরেছিল ৯ উইকেটে। শ্রীলঙ্কাকে ২৩৩ রানে আটকে রেখে ১০৭ রানে হেরেছিল টাইগাররা। ম্যাচটিতে সাইফুল ইসলামের ৩৬ রানে ৪ উইকেট বহুদিন বাংলাদেশের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ছিল। পাকিস্তানের কাছে তৃতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটে ১৫১ রান করে হেরেছিল ৬ উইকেটে। এরপর আরব আমিরাতে বহুদিন ধরে এশিয়া কাপের আসর বসেনি। ২০১৮ সালে পুনরায় বসে। সেবার ফাইনাল খেলেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে বাংলাদেশ। ২২২ রান করেও শেষ ওভারের শেষ বলে ভারতের কাছে হেরেছিল ৩ উইকেটে। ফাইনালে ১১৭ বলে ১২১ রান করেছিলেন লিটন। কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারের এটাই প্রথম ও একমাত্র সেঞ্চুরি। আসরের প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবাল ভাঙা হাত নিয়ে খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ১৩৭ রানে জয়ী ম্যাচটিতে ১৪৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যক্তিগত ৯৯ রানে আউট হয়েছিলেন মুশফিক।

পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের দুজন মাশরাফি ও তামিম নেই এবারের আসরে। দুজনেই বিদায় জানিয়েছেন টি-২০ ক্রিকেটকে। বাকি তিন সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব, মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিক খেলছেন। জুনিয়র ও সিনিয়রদের নিয়ে আসরে অংশ নিচ্ছে সাকিব বাহিনী।

সর্বশেষ খবর