শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ফাইনালের আগে রিহার্সেল পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফাইনালের আগে রিহার্সেল পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার

এশিয়া কাপের ফাইনালে কখনোই মুখোমুখি হয়নি দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) চেয়েছিল ১১ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হোক দুই ক্রিকেট পাওয়ার শক্তি। কিন্তু এবারও সেই আশা পূরণ হয়নি এসিসির। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের হতাশ করে চতুর্থবারের মতো পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ফাইনাল মুখোমুখি হবে। রবিবার ফাইনালে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আগে দুই দল আজ মুখোমুখি হচ্ছে। ম্যাচটিকে ফাইনালের ‘ড্রেস রিহার্সেল’ বলাই যায়!  দুই দল এর আগে ১৯৮৬ সালে কলম্বোয় প্রথমবার ফাইনাল খেলেছিল। দ্বিতীয়বার ফাইনালে মুখোমুখি হয় ২০০০ সালে ঢাকায় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয়বার ফাইনাল খেলে দুই দল। পাকিস্তান সর্বশেষ ফাইনাল খেলেছিল আট বছর আগে ২০১৪ সালে। শ্রীলঙ্কা সর্বশেষ ফাইনাল খেলেছিল ২০১৪ সালে। ফাইনালের তিনবারের লড়াইয়ে ‘দ্বীপরাষ্ট্র্র’ শ্রীলঙ্কা হেসেছে দুবার (১৯৮৬ ও ২০১৪) এবং পাকিস্তান একবার (২০০০)।

এশিয়ার মুকুট পরার মিশনটা ভালোভাবে শুরু করেনি দুই দল। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই খেলতে নেমেছিল দাসুন শানাকার শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়েছিল লঙ্কানরা। আফগানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১০৫ রানে গুটিয়ে হেরেছিল ৮ উইকেটে। পাকিস্তানও নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হেরেছিল ভারতের কাছে। এরপর দুই দল আর হারের মুখ দেখেনি। সুপার ফোরে খেলতে গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হারায় বাংলাদেশকে। ২ উইকেটে জিততে নাভিশ্বাস উঠেছিল দ্বীপরাষ্ট্রের। সাকিবদের হারানোর পর শ্রীলঙ্কা পরের দুই ম্যাচেই পাত্তাই দেয়নি প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও ভারতকে। সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দেয়। আফগানিস্তানের ১৭৫ রান টপকে যায় ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ ৫ বল হাতে রেখে। পরের ম্যাচে ভারতকে হারায় ৬ উইকেটে। ভারতের ১৭৩ রান টপকে যায় এক বল হাতে রেখে।পাকিস্তান গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে হারলেও পরের তিন ম্যাচে জয় পায়। দুর্বল হংকংকে মাত্র ৩৮ রানে গুটিয়ে দেয়। যা এশিয়া কাপে সর্বনিম্ন স্কোর। সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে প্রতিশোধ নেয় বাবর আজমের দল। ভারতের ১৮১ রান টপকে যায় ৫ উইকেট হারিয়ে। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পায় ভাগ্যগুণে।

শারজাহ’র ধীরলয়ের উইকেটে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১২৯। ১৩০ রানের টার্গেটে ১১৮ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার হয় ১১ রান। সুইং বোলার ফজল ফারুকীর ওভারের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কা মেরে দলকে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দেন ডান হাতি পেসার নাসিম শাহ। অবিশ্বাস্য এই জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাবর বাহিনী।

পাকিস্তান ফাইনাল খেললেও দলটির মূল ব্যাটার অধিনায়ক বাবর ছন্দ হারিয়েছেন। ৪ ম্যাচে বাবর রান করেছেন মাত্র ৩৩। সর্বোচ্চ ১৪। তবে দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান রয়েছেন দারুণ ছন্দে। ৪ ম্যাচে ১২০.৪৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২১২। আসরে এখন পর্যন্ত একমাত্র ব্যাটার যিনি ২০০ রান ছুঁয়েছেন। বোলিংয়ে পাকিস্তানের মূল ভরসা পেসার নাসিম। গতির ঝড় তুলে এখন পর্যন্ত উইকেট নিয়েছেন ৬টি। লেগ স্পিনার শাদাব খান ৭টি এবং বাঁ হাতি স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজ ৮ উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কার ধারাবাহিক ব্যাটার ওপেনার কুশল মেন্ডিস ৪ ম্যাচে ১৫৫ রান, পিথুম নিশাঙ্কা ৪ ম্যাচে ১১০, অধিনায়ক দানুস শানাকা ৪ ম্যাচে ৮৮ রান করেন। বোলিংয়ে মাদুশাঙ্কা ৪ ম্যাচে ৬ উইকেট, কারুণারত্নে ৪ উইকেট নেন।  

সর্বশেষ খবর