শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-নেপাল ফাইনাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-নেপাল ফাইনাল

ভুটানের জালে গোল উৎসব করে ফাইনাল নিশ্চিত করেছেন সাবিনা খাতুনরা। গ্রুপ পর্বে ১২ গোল করার পর এবার সেমিফাইনালে করলেন আট গোল। চার ম্যাচে ২০ গোল করা বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে এবার নেপাল। গতকাল সেমিফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক নেপাল। এই প্রথমবার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেই ভারত। আগের পাঁচবার তারা কেবল ফাইনাল খেলেনি, ট্রফিও ঘরে নিয়ে গেছে। প্রথমবার ভারতহীন ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। এর আগে নেপাল চারবার এবং বাংলাদেশ একবার রানার্সআপ হয়েছে মেয়েদের সাফে।

ফাইনাল নিশ্চিত করার পর ভুটানের বিপক্ষে জয়টা কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকে উপহার দিলেন সাবিনা খাতুনরা। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্যার (ছোটন) আমাদের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। তারই ফল পাচ্ছি। আমরা এই জয়টা স্যারকে উৎসর্গ করছি।’ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ভারত ও ভুটানকে বড় ব্যবধানে হারিয়েই কোনো উৎসব করতে রাজি নন। ট্রফি হাতে নিয়েই চূড়ান্ত উৎসব করতে চান তিনি। ছোটন বলেন, ‘গত ম্যাচে (ভারতের বিপক্ষে) জয়ের পর মেয়েদেরকে স্যালুট দিয়েছিলাম। প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনাল। সেটা পূরণ হয়েছে। এবার ট্রফি জিততে চাই।

এরপর উদযাপন করব।’ ভুটানের বিপক্ষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের গোলবার অক্ষত রাখার রেকর্ডটা ধরে রাখলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১০ সালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে গ্রুপ পর্বে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। ২০১২ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বে ভুটানের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পান সাবিনারা। ২০১৯ সালের সাফে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ২-০ গোলের জয় পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। ভুটানের বিপক্ষে যেমন রেকর্ডটা ধরে রাখার স্বস্তি আছে তেমনে একটা অশ্বস্তিও অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে। নেপালের বিপক্ষে এর আগে কোনো সাফেই জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। ২০১০ সালে সেমিফাইনালে ৩-০, ২০১৪ সালে সেমিফাইনালে ১-০ এবং ২০১৯ সালে গ্রুপ পর্বে ৩-০ গোলে নেপালের কাছে হার স্বীকার করেছেন সাবিনারা। অবশ্য অতীতের এসব বিষয় নিয়ে ভাবছেন না সাবিনাদের কোচ ছোটন। গতকাল নেপাল-ভারত ম্যাচের ফলাফল জানার আগেই বলে দিয়েছেন, ‘ফাইনালে যারাই আসুক আমরা তা নিয়ে ভাবব না।’ যে কোনো দলকে হারানোর জন্যই প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন গোলাম রব্বানী ছোটন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর