সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ফুটবল মাঠে ট্র্যাজেডি

ফুটবল মাঠে ট্র্যাজেডি

ক্লাব ফুটবলে ডার্বির লড়াই নতুন কিছু নয়। একই দেশের দুই সেরা ক্লাবের মধ্যে লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছাড় দেয় না। এই লড়াই থেকে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় প্রবল শত্রুতা। একে অপরের দিকে তারা ছুটে যায় যুদ্ধংদেহী হয়ে। শনিবার রাতে এমনই এক ঘটনা দেখল পৃথিবী। যেখানে প্রাণ হারালেন ১৭৪ জন ফুটবলপ্রেমী। ইন্দোনেশিয়ার অ্যারেমা এফসি ও পার্সিবায়া ক্লাবের লড়াইয়ে অ্যারেমা ৩-২ গোলে হেরে যায়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে লড়াইয়ে নেমে যায় অ্যারেমার সমর্থকরা। পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল আর ধাক্কাধাক্কিতে প্রাণ হারান ফুটবলপ্রেমীরা। তবে এই ঘটনা নতুন নয়। ফুটবল মাঠে এমন ট্র্যাজেডি আছে আরও অনেক।

 

আর্জেন্টিনা-পেরু

২৪ মে, ১৯৬৪

ফুটবল ইতিহাসের ভয়ংকরতম দিন ছিল সেটি। ১৯৬৪ সালের ২৪ মে। পেরুর লিমা শহরে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় পেরু-আর্জেন্টিনা। অলিম্পিক বাছাইপর্বের এই ম্যাচে রেফারির এক সিদ্ধান্ত নিয়ে পেরুর সমর্থকরা ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে প্রবেশ করে। পুলিশের ছোড়া টিয়ার  শেল আর ভিড়ের চাপে ৩২০ জন ফুটবলপ্রেমী মৃত্যুবরণ করে। আহত হন হাজারেরও বেশি ফুটবল সমর্থক।

 

হার্ট অব ওকস-কুমাসি 

মে, ২০০১

ঘানার আকরা শহরের স্পোর্টস স্টেডিয়ামে ২০০১ সালের ৯ মে মুখোমুখি হয় হার্ট অব ওকস এবং কুমাসি ক্লাব। দুই দলের লড়াইয়ে হেরে যায় কুমাসি। তবে তাদের সমর্থকরা বিষয়টি মোটেও মেনে নিতে পারেনি। স্টেডিয়ামে তারা চেয়ার ভাঙতে শুরু করে। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে দর্শকদের হুড়োহুড়িতে প্রাণ যায় ১২৬ জন সমর্থকের।

 

লিভারপুল-নটিংহ্যাম ফরেস্ট

১৫ এপ্রিল, ১৯৮৯

এফএ কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল-নটিংহ্যাম। ১৯৮৯ সালের ১৫ এপ্রিল হিলসবরো স্টেডিয়ামে লিভারপুল সমর্থকদের অতিরিক্ত ভীড় সামলাতে সি গেট খুলে দেওয়া হয়। সমর্থকদের চাপে ধস নামে গ্যালারিতে। এতে ওইদিনই ৯৪ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আহত হওয়া আরও তিনজন পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করেন ।

 

স্পার্টাক মস্কো- হারলেম

২০ অক্টোবর, ১৯৮২

মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ১৯৮২ সালের ২০ অক্টোবর উয়েফা কাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্পার্টাক মস্কো ও নেদারল্যান্ডসের হারলেম। ম্যাচের পর সিঁড়ি ভেঙে পড়লে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়। আনঅফিশিয়াল রিপোর্টে ৩৪০ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়। এছাড়াও ফুটবল মাঠে আরও অনেকবারই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১২ সালে মিসরের পোর্ট সাইদ স্টেডিয়ামে আল মারসি ও আল আহলির সমর্থকদের লড়াইয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৭৪ জন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্যামেরুনে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ম্যাচে মৃত্যুবরণ করেন ৮ জন ফুটবল সমর্থক। ১৯৮৫ সালে ৫৬ জন মৃত্যুবরণ করে লিংকন সিটি ও ব্র্যাডফোর্ড ম্যাচে। ১৯৯৬ সালে ৮০ জনের মৃত্যু হয় গুয়াতেমালা ও কোস্টারিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর