নাইজেরিয়ার স্বপ্ন ভেঙে ফিফা নারী বিশ্বকাপে টিকে রইল ইংল্যান্ড। গতকাল ব্রিসবেনের ল্যাঙ পার্ক স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে নাইজেরিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য (০-০) ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জয় পেয়েছে ইংলিশ মেয়েরা। ম্যাচে দারুণ খেলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি নাইজেরিয়া। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে ইংল্যান্ডের লরেন জেমস লাল কার্ড দেখেন। ১০ জনের দল নিয়েও পরবর্তী প্রায় ৪০ মিনিট দারুণ খেলে ইংলিশরা। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে কলম্বিয়া অথবা জ্যামাইকার। ২০০৭ সাল থেকে নারী বিশ্বকাপে অন্তত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছে ইংল্যান্ড। এবারেও তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখল ইংলিশ মেয়েরা।
গতকাল শেষ ষোলোর বাধা অতিক্রম করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াও। সিডনিতে ডেনমার্ককে ২-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক মেয়েরা। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটি করে গোল করেন জেড ফোর্ড এবং হেইলি এমা র্যাসো। কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া খেলবে ফ্রান্স অথবা মরক্কোর সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়া চতুর্থবারের মতো নারী বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল। এর আগে তারা ২০০৭, ২০১১ ও ২০১৫ সালে শেষ আটে খেলেছে। বিশ্বকাপে আগে কখনো সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। এবার পারবে কি! অস্ট্রেলিয়া এবার গ্রুপ পর্বে বড় হোঁচটই খেয়েছিল। নাইজেরিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল ৩-২ গোলে। তবে পরের ম্যাচে কানাডাকে উড়িয়েই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে স্বাগতিক মেয়েরা। এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের একটা ম্যাচ বাদ দিলে দুর্দান্ত খেলছে অস্ট্রেলিয়া। ফেবারিটের তালিকায় ধীরে ধীরে ওপরের দিকে উঠে যাচ্ছে তারা।
ফিফা নারী বিশ্বকাপে শেষবার নতুন কোনো দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১১ সালে। সেবার জাপানি মেয়েরা যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে চলমান এবারের বিশ্বকাপে নতুন দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। সাবেক চার চ্যাম্পিয়নের মধ্যে নকআউট পর্বে টিকে আছে জাপান। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সুইডেন।