জয় দিয়েই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। গতকাল নেপালের ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ ২-০ গোলে পরাজিত করে শ্রীলঙ্কাকে। এক জয়ে লাল সবুজদের সেমিফাইনালও নিশ্চিত হয়ে গেল। ‘এ’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের কাছে হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল দেশটি। সেমির আগে বাংলাদেশ ও নেপাল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে লড়বে। বৃহস্পতিবার দুই দেশ মুখোমুখি হবে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদেশের মাটিতে এটিই ছিল কোনো খেলায় প্রথম ম্যাচ।
শুরু থেকেই চাপিয়ে খেলেন বাংলাদেশের যুবারা। প্রথম মিনিটেই গোলের সুযোগ তৈরি করলেও আসাদুল মোল্লা তা কাজে লাগাতে পারেননি। এরপর একের পর এক আক্রমণ। ১৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। নেপালের এক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন রাব্বী হোসেন রাহুল। তার আড়াআড়ি ক্রসে গোলপোস্টের সামনে থেকে টোকা মেরে বল জালে পাঠান মিরাজুল। গোলের পর উদযাপনটি অন্যরকমই করেছেন তিনি। জার্সির ওপর অন্য একটি টি শার্ট চাপান। তাতে লেখা ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত দুই শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধের নাম। এভাবে পুলিশের গুলিতে নিহত দুজনকে স্মরণ করলেন মিরাজুল। অবশ্য এজন্য তাকে হলুদ কার্ড দেখতে হয়।
এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের আক্রমণের ধার আরও বেড়ে যায়। শ্রীলঙ্কার ডিফেন্ডাররা যা সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলেন। সুযোগ হাতছাড়া করায় ব্যবধান বাড়ানো যাচ্ছিল না। প্রথমার্ধের একেবারে শেষের দিকে মিরাজুল ফাঁকা নেট পেয়েও গোল করতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধেও বাংলাদেশ প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে থাকে। তবে সমতায় ফিরতে লঙ্কানরা চেষ্টা চালালেও বাংলাদেশ ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় সম্ভব হয়নি। ৮৫ মিনিটে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন পিয়াস আহমেদ। ম্যাচ শেষে কোচ মারুফুল হক বলেন, ‘ছেলেদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। তবে ব্যবধান আরও বড় হতে পারত। সহজ সহজ সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। নকআউট ম্যাচে তা কোনোভাবে হতে দেওয়া যাবে না। শিরোপার টার্গেট নিয়ে উড়ে এসেছি। সেই সামর্থ্য ছেলেদের রয়েছে। সেমিতে প্রতিপক্ষ যে-ই হোক না কেন, আমাদের সেরাটা দিতে হবে। জিতলে তারপর ফাইনালের পরিকল্পনা।’