ক্রীড়াঙ্গনে সুবাতাস বইছে। গত এক সপ্তাহে দুই দুটি বিজয়োচ্ছ্বাসে মেতেছে বাংলাদেশ। টেস্টে প্রথমবারের মতো হারিয়েছে পাকিস্তানকে। প্রথমবারের মতো সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। এখন নাজমুল হোসেনদের সামনে হাতছানি প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগাররা প্রথম টেস্ট জিতেছে ১০ উইকেটে। ১২ হার এবং এক ড্রয়ের পর ১৪তম টেস্টে পাকিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগামীকাল রাওয়ালপিন্ডিতেই শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। নাজমুলরা অপেক্ষায় ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের। শান মাসুদের নেতৃত্বে পাকিস্তানও মরিয়া সিরিজে সমতা আনতে। সমতা আনতে স্কোয়াডে পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। টাইগাররা মানসিকভাবে উৎফুল্ল এবং আত্মবিশ্বাসী। দলে ফিরেছেন ডান হাতি ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। স্কোয়াডে থাকলেও প্রথম টেস্ট খেলেননি তাসকিন। আগামীকাল শুরু টেস্টে খেলতে দেখা যেতে পারে তাসকিনকে। অবশ্য একাদশ কেমন হবে পুরোপুরি নির্ভর করবে উইকেটের আচরণের ওপর।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের হাতছানি দিচ্ছে টাইগারদের। এর আগে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ে চারবার (২০০৪-৫, ২০১৪-১৫ ও ২০১৯-২০ ও ২০২১), ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুবার (২০০৯ ও ২০১৮-১৯) এবং একবার করে আয়ারল্যান্ড (২০২২-২৩) ও আফগানিস্তানের (২০২৩) বিপক্ষে।
১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয়ে অসাধারণ ব্যাটিং করেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১৯১ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন। ওই নান্দনিক ইনিংসে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি র্যাঙ্কিং পয়েন্ট পেয়েছেন সাবেক অধিনায়ক। শুধু ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিং পয়েন্ট নয়, ক্যারিয়ারের সেরা অবস্থান ১৭ নম্বরে উঠেছেন। এর আগে দুবার ১৭ নম্বরে উঠেছিলেন। প্রথমবার ২০২২ সালের মে মাসে এবং দ্বিতীয়বার ২০২৩ সালের এপ্রিলে। এবার র্যাঙ্কিং পয়েন্ট ৬৮৪। আগের র্যাঙ্কিং পয়েন্ট ছিল যথাক্রমে ৬৭৫ ও ৬৭৪।
পাকিস্তানের বিপক্ষে আগামীকাল ১৫ নম্বর টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। দুই দল পরস্পরের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলেছিল ২০০১ সালে। এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ ছিল। এবার সপ্তমবার সিরিজ খেলছে। আগের ছয় সিরিজের সবগুলোতে হেরেছে টাইগাররা। একটিমাত্র টেস্ট ড্র করেছিল ২০১৫ সালে খুলনায়। এবার প্রথম টেস্ট জিতল। মরিয়া পাকিস্তান ফিরিয়েছে স্পিনার আবরার আহমেদ ও পেসার আমের জামালকে এবং ব্যাটার কামরান গোলামকে। ফিরিয়েছে তিনজনকে। প্রথম টেস্টে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। মুশফিকের ১৯১, সাদমানের ৯৩, মুমিনুলের ৫০, লিটনের ৫৬ ও মিরাজের ৭৭ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে বিধ্বস্ত হয় পাকিস্তান। জয়ের ৩০ রানের টার্গেট বাংলাদেশ টপকে যায় বিনা উইকেট হারিয়ে। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।