দেশের ফুটবলের নিঃশ্বাস বসুন্ধরা কিংস। পেশাদার লিগে অভিষেকের পর থেকে ঘরোয়া আসরে একের পর এক রেকর্ড গড়েই চলেছে। যা অন্য কারোর পক্ষে সম্ভব হয়নি। টানা পাঁচবার শিরোপা জিতে ১৯৪৮ থেকে শুরু হওয়া ঘরোয়া আসরের ইতিহাসে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ মিলিয়ে ১১ ট্রফি জিতেছে কিংস। শুধু মাঠেই নয়, ফুটবলের অধিকাংশ আসরে পৃষ্ঠপোষকতা করছে বসুন্ধরা গ্রুপ। ফুটবলের দুর্দিনে বসুন্ধরা যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। নতুন মৌসুমে আরেক রেকর্ডের হাতছানি দিচ্ছে কিংসকে। লিগ জিতলেই ডাবল হ্যাটট্রিক শিরোপা পূর্ণ হবে। ঢাকা আবাহনীও ছয়বার পেশাদার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে তা টানা নয়।
ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্য এলেও আন্তর্জাতিক ক্লাব টুর্নামেন্টে সাফল্য নেই। টানা চারবার এএফসি কাপে খেললেও গ্রুপ পর্ব পার হতে পারেনি। এশিয়ান ক্লাব ফুটবলে আবারও মাঠে নামার অপেক্ষায় বসুন্ধরা কিংস। তবে এবার লড়বে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে। গ্রুপ ও ফিকশ্চার নির্ধারণ হয়ে গেছে। আগামী মাসে ভুটানের থিম্পুতে উঠবে পর্দা। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ লেবাননের নেজমেহ স্পোর্টিং, ভারতের ইস্টবেঙ্গল এবং গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক পারো এফসির বিপক্ষে। ২৬ অক্টোবর বসুন্ধরা কিংস গ্রুপের প্রথম ম্যাচ লড়বে নেজমেহ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে। ২৯ অক্টোবর ইস্টবেঙ্গল এবং ১ নভেম্বর পারো এফসির সঙ্গে।
চ্যালেঞ্জ লিগে অংশ নিচ্ছে দুই জোনের ১৮ ক্লাব। কিংস রয়েছে পশ্চিম জোন। যেখানে তিন গ্রুপে লড়বে ১২ ক্লাব। পূর্ব জোনে ছয় ক্লাব। পশ্চিম জোনের তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা রানার্সআপ খেলবে সেমিফাইনাল, মূলত এটি টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল। পূর্ব জোনে ও (আসিয়ান অঞ্চল) দুই দলের চ্যাম্পিয়নরা লড়বে আসরের ফাইনালে। বসুন্ধরা কিংস নতুন মৌসুমের প্রস্তুতিও শুরু করেছে। নতুন কোচ রোমানিয়ার ভ্যালেরিউ তিতাও এসেছেন। চ্যালেঞ্জ লিগে ভালো প্রস্তুতি নিয়েই ঢাকা ছাড়বে কিংস। তিন দলই কিংসের নতুন প্রতিপক্ষ। এর আগে তাদের সঙ্গে খেলা হয়নি।