বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই রাজধানীর শান্তিনগর বটতলায় সন্ধ্যায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন রিকশাচালক কামাল মিয়া (৪০)। তাঁর পরিবারে তিনিই ছিলেন উপার্জনক্ষম। ফলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তায় এখন দিন কাটছে কামাল মিয়ার স্ত্রী ও সন্তানদের। এরই মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চার দিন ধরে হাসপাতালে শয্যাশায়ী কামালের স্ত্রী। তাদের তিন মেয়ে, এক ছেলে। বড় মেয়ে আনিকা আক্তারের (২২) বিয়ে হলেও তার স্বামী ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় বাবার সঙ্গেই শান্তিনগরের বটতলায় এক রুমের টিনশেড বাড়িতে ছোট মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। কামালের বাকি দুই মেয়ের একজন মাদরাসায়, আরেকজন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। আর নয় বছরের ছেলেটিও মাদরাসায় পড়ে। কামাল মিয়ার বৃদ্ধা মা এ পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। সব মিলিয়ে পরিবারের সাত সদস্যের দেখভাল করতেন কামাল মিয়া। কিন্তু পুলিশের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হওয়ায় এখন বিপদে পড়েছে পুরো পরিবার।
সম্প্রতি ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সঙ্গে অলরাউন্ডার পারফরম্যান্স দেখিয়ে সিরিজসেরা খেলোয়াড় হিসেবে ৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি পুরস্কার পান। আর এ টাকা তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এক রিকশাচালকের পরিবারকে দেবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। এ খবরে কামাল মিয়ার দুই মেয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের কার্যালয়ে আসেন। কামাল মিয়ার মেয়ে আনিকা বলেন, ‘আমার ছোট তিন ভাইবোন সবাই পড়ালেখা করছে। বাবা মারা যাওয়ার পর এদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে। গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে আমাদের থাকার ব্যবস্থা নেই। ২০১৪ সালে ঢাকায় আসার পর থেকেই বাবা রিকশা চালিয়ে আমাদের বড় করেছেন। বাবার মৃত্যুর পর মা-ও এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।