ক্রীড়াঙ্গনে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। একসঙ্গে ৪২ ফেডারেশন ও সংস্থার সভাপতিকে অব্যাহতি দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। গতকাল এক প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। দাবা, কাবাডি ও ব্রিজ ফেডারেশনের সভাপতিদের আগেই সরানো হয়েছিল। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ বিদ্যমান ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন, বোর্ড, সংস্থার কার্যক্রম অধিকতর সক্রিয় ও সংস্কারের উদ্দেশ্যে সভাপতিদের অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এর মধ্যে ব্যাডমিন্টন, অ্যাথলেটিকস, শুটিং, হ্যান্ডবল, জুডো, কারাতে, তায়কোয়ান্দো, টেবিল টেনিস, জিমন্যাস্টিকস, বাস্কেটবল, আর্চারি, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, বক্সিং, বধির ক্রীড়া ফেডারেশন, বাশাআপ, রাগবি, ফেন্সিং, বেসবল, প্যারা অলিম্পিক, সার্ফিং, প্যারা আর্চারি, ভারোত্তোলন, উশু, ক্যারম, সাইক্লিং, টেনিস, রেসলিং, রোলার স্কেটিং, কান্টি গেমস, থ্রো-বল, ভলিবল, স্কোয়ার্শ রোইং, আন্তর্জাতিক তায়কোয়ান্দো, ঘুড়ি, খিউকুশিল, খোখো ও মার্শার আর্ট।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি আবার সরকার মনোনীত নয়। নির্বাচনের মাধ্যমে তারা দায়িত্ব পান। এর মধ্যে মেয়াদপূর্ণ হওয়ার আগে নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করলে বিধি মেনেই বিসিবির নতুন সভাপতি হন ফারুক আহমেদ। কাজী সালাউদ্দিন এখনো বাফুফের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। ২৬ অক্টোবর এ ফেডারেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা। হকি, সাঁতার, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিরা সরকার মনোনীত হলেও তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সভাপতি অব্যাহতির মধ্যে ফেডারেশন বিলুপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।