দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম ভেন্যু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স। ক্রিকেট, শুটিং, সাঁতার বাদে দেশের প্রায় অন্য সকল খেলা এই কমপ্লেক্সে হয়। অথচ এই এলাকায় খেলার পরিবেশই নেই অসংখ্য দোকানের কারণে। সেই দোকান থেকেও এনএসসি খুব কম রাজস্ব পায়। গতকাল আকস্মিকভাবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকায় দোকান পরিদর্শন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া। যা বিগত কোনো মন্ত্রী করেননি।
ঘণ্টাখানেক সময় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখেছেন। দোকানদারের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছেন। তিনি দোকান মালিক সমিতি বা এনএসসির কর্মকর্তাদের আগে থেকে অবহিত করেননি। উপদেষ্টা এসেছেন জানতে পেরে এনএসসির দুই-তিনজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকৃত চিত্র পেতে তিনি এই পরিদর্শন করেন। আজ প্রাথমিক কিছু ধারণাও পেয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকায় দোকান পরিদর্শন শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন, ‘আমি একটু হালনাগাদটা দেখতে চাইলাম কি অবস্থা। বাস্তবে না আসলে অনেক তথ্যের গ্যাপ হয়। আজ প্রাথমিক ধারণা পেলাম।’ প্রাথমিক ধারণায় দোকান ভাড়া নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে ক্রীড়া উপদেষ্টার মনে, ‘সরকারি খাতায় আমরা এই দোকানগুলো থেকে ২৬ টাকা স্কয়ার ফিট ভাড়া পাই। দোকানদারা ভাড়া দিচ্ছে ২১৭-২২০ টাকা। এত টাকা ভাড়া কাদের দিচ্ছে। আমি তাদের এগ্রিমেন্ট পাঠাতে বলছি।’
ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট অনেকের ধারণা ভাড়া হাতবদলের ক্ষেত্রে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ-মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জড়িত থাকতে পারেন। এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা, ‘অতিরিক্ত ভাড়াটা কোথায় যায়, কাকে দিচ্ছে- এটা আমাদের বের করতে হবে। এগুলোর সাথে আমাদের মন্ত্রণালয় বা এনএসসির কেউ জড়িত কিনা সেটাও দেখব।’