ফুটবলে নতুন মৌসুমের পর্দা উঠবে ১১ অক্টোবর। চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়েই ঘরোয়া আসর মাঠে গড়াবে। ১৫ অক্টোবর ফেডারেশন কাপ এবং ১৮ অক্টোবর দেশের ফুটবলে সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হবে। যা পেশাদার লিগ নামেই পরিচিত। ঘরোয়া ফুটবল আগেই শুরু হতো। কিন্তু ক্লাবগুলো প্রস্তুতির জন্য ছয় সপ্তাহ সময় চাইলে শিডিউল পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রস্তুতি কথা বললেও এখনো কিছু ক্লাব প্রশিক্ষণই শুরু করতে পারেনি। এবারও সবার আগে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করে বসুন্ধরা কিংস। এরপর পুলিশ, ঢাকা মোহামেডান, ফটিস এফসিও প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে। তবে দুটি ক্লাবের প্রস্তুতি চলছে ঢিমেতালে। ঘরোয়া ফুটবল ঘিরে যে সিরিয়াস অনুশীলন হয় তা চোখে পড়েনি। সবচেয়ে অবাক লাগছে ঢাকা আবাহনীর মতো বড় দল এখনো অনুশীলনে নামেনি। ব্রাদার্স ইউনিয়ন বাফুফের সহায়তায় রেলিগেশন থেকে বেঁচে যায়। তা না হলে তাদের চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলতে হতো। যাক ক্লাব ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন আসায় মোটামুটি শক্তিশালী দলই গঠন করেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। শিরোপার লড়াইয়ে না হলেও যে মানের দল তাতে এবার লিগে ব্রাদার্সের শীর্ষে চারে থাকার সামর্থ্য রয়েছে। অথচ তারাও অনুশীলনে নামেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পরিবর্তনের পর নানা সমস্যায় জর্জরিত আবাহনী। ৫ আগস্ট এ ক্লাবে হামলা চালিয়ে মূল্যবান ট্রফি চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ক্লাবের প্রভাবশালী পরিচালকদের মধ্যে কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন। কেউ বা আবার দেশ ছেড়ে গেছেন। এতেই বড় ধরনের অর্থ সংকটে পড়ে গেছে। ঘরোয়া আসরে বিদেশি ফুটবলারদের খেলার অনুমতি দেওয়ার পর এবারই প্রথম আবাহনী বিদেশি ছাড়া মাঠে নামবে। যা অবাক করার মতো। ম্যানেজার পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে সত্যজিত দাশ রুপুকে। নবাগত ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুল, ওয়ান্ডারার্স, রহমতগঞ্জ, চট্টগ্রাম আবাহনীও অনুশীলন শুরু করতে পারেনি। ১০ ক্লাবের মধ্যে ছয় ক্লাবই অনুশীলনে নেই। মৌসুম শুরুর আগে এমন দৃশ্য কখনো দেখা যায়নি। কোনো ক্লাবের খেলোয়ড়রা ঢাকাতে এসেও পৌঁছাননি। মোহামেডান অনুশীলন শুরু করলেও তাদের বিদেশিদের দেখা নেই।
অবশ্য ফুটবল ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকিব জানান, ‘ওদের টিকিট পাঠানো হয়েছে। ২৫-২৭ সেপ্টেম্বরে মধ্যে এসে পড়বে। সব বিদেশিকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ কাপে খেলব।’