চেন্নাই মিশন শেষ। চেন্নাইয়ের ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে গতকাল কানপুরে পা রেখেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ভারতের অন্যতম পুরনো ক্রিকেট স্টেডিয়াম কানপুর গ্রিন পার্ক। এই মাঠে গত ৭২ বছরে টেস্ট হয়েছে ২৩টি। স্বাগতিক ভারত সব টেস্টে অংশ নিয়ে জিতেছে ৭টি। হেরেছে ৩টি এবং ড্র করেছে ১৩টি। চেন্নাইয়ের মতো কানপুরেও টাইগাররা প্রথমবার টেস্ট খেলবে। চিদাম্বরমে এর আগে ওয়ানডে খেললেও এবার প্রথম টেস্ট খেলেছে। কানপুরে এবার প্রথম খেলবে। শুধু টেস্ট নয়, কানপুরে ওয়ানডে কিংবা টি-২০ কোনো ম্যাচ খেলেনি টাইগাররা। চিদাম্বরমের নাজমুলরা খেলেছিলেন লাল মাটির উইকেটে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কানপুরে খেলবে কালো মাটির উইকেটে। সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার উইকেটে খেলা হবে। কালো মাটির উইকেটে বল নিচু হয়ে আসে। উইকেটে টার্ন থাকে। আন ইভেন বাউন্স থাকে। এমন উইকেট যথেষ্ট পরিচিত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে। কারণ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের উইকেটের আচরণ অনেকটাই এ রকম। চিদাম্বরমের উইকেট ছিল লাল। ব্যাটাররা সুবিধা পেয়েছেন। যদিও কোনো টাইগার ব্যাটার তিন অংকের ইনিংস খেলতে পারেননি। অথচ স্বাগতিক দলের রবীচন্দ্রন অশ্বিন, শুভমান গিল ও ঋষভ পান্ত সেঞ্চুরি করেন। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল। উইকেটে বাউন্স থাকায় সুবিধা পেয়েছেন পেসাররা। তিন টাইগার পেসার উইকেটের বাউন্স আদায় করে নিয়েছেন। হাসান মাহমুদ প্রথম ইনিংসে সুইংয়ের ব্যবহারে ৫ উইকেট নেন। তাসকিন আহমেদও আগ্রাসি বোলিং করেন। নাহিদ রানা নিয়মিত ভারতীয় ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলেছেন ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে। অবশ্য স্পিনাররাও সুবিধা পেয়েছেন একটু বেশি। দুই স্বাগতিক স্পিনার অশ্বিন ও জাদেজার ঘূর্ণিতে বিধ্বস্ত হয়েছে নাজমুল বাহিনী।
কানপুরে কালো মাটির উইকেট। স্পিন সহায়তা পাবে দল দুটি। এ জন্য দুই দলের একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে। টাইগারদের একাদশে দেখা যেতে পারে তাইজুল ইসলামকে। বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুলের মাত্র ৫টি উইকেটের অপেক্ষা। যদি কানপুরে খেলার সুযোগ পান এবং ৫ উইকেট নেন, তাহলে সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় টাইগার বোলার হিসেবে ২০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লেখাবেন। উইকেট স্পিন সহায়ক বলে একাদশে দেখা যেতে পারে তাইজুলকে। তখন হয়তো নাহিদ রানাকে সাজঘরে বসে থাকতে হবে। এই মাঠে স্পিনারদের রেকর্ড ভালো। কানপুরের সেরা বোলিং ফিগার ভারতের দুই স্পিনার জশুভাই প্যাটেল ও সুভাশ গুপ্তের। ১৯৫৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্যাটেলের বোলিং স্পেল ছিল ৩৫.৫-১৬-৬৯-৯। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৯৫৮ সালে গুপ্তের বোলিং স্পেল ছিল ৩৪.৩-১১-১০২-৯। চেন্নাই টেস্টের নায়ক অশ্বিনের কানপুরে সেরা বোলিং স্পেল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালে ৩৫.৩-৫-১৩২-৬। পেসারদের মধ্যে সেরা বোলিং স্পেল অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি পেসার জিওফ ডাইমকের। ১৯৭৯ সালে তার স্পেল ছিল ২৮.৪-৫-৬৭-৭।