হামজা চৌধুরী বাংলাদেশে খেলবেন। এ কথা অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। অথচ এ নিয়ে হামজার কোনো বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশ্য বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ খেলোয়াড়কে জাতীয় দলে খেলাতে বাফুফে গত বছর থেকে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। এখন নাকি তার খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে হামজাকে পেতে একে একে সব ধাপ পূরণ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ইংল্যান্ড এফএর কাছ থেকে এনওসিও মিলেছে। অর্থাৎ হামজাকে ছাড়তে ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের আর কোনো আপত্তি নেই।
এনওসি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড এফএর এনওসি মিলেছে। তাই আগামী নভেম্বরে হামজাকে পেতে আশাবাদী বাংলাদেশ। সব কাগজ এরই মধ্যে ফিফার দপ্তরে পাঠানোও হয়েছে। এখন শুধু প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষা, যা আনুষ্ঠানিকতাও বলা যায়। এর আগে হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করে বাফুফেকে চিঠি দিলে নিজেদের কাজ শুরু করে ফেডারেশন।
হামজার সেই চিঠি সংযুক্ত করে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে খেলানোর ব্যাপারে অনাপত্তিপত্র চেয়েছিল বাফুফে। ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এনওসি দেওয়ায় এখন শুধু তাকে পেতে একটা ধাপই বাকি থাকল। ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে অনুমতি দিলেই নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে হামজাকে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যেতে পারে।
এদিকে মোহামেডানের গাম্বিয়ার সুলেমান দিয়াবাতে বাংলাদেশে জাতীয় দলে খেলার আগ্রহ দেখালেও বাফুফের এখন পর্যন্ত কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘দীর্ঘদিন বাংলাদেশে খেলায় দেশটির প্রতি আমার মায়া জন্মে গেছে। কিন্তু এখন দেখছি বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলতে চেয়ে অন্যায় করে ফেলেছি। মনে হচ্ছে, আমি যেন ভিক্ষা চাচ্ছি।’