নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একক রাজত্ব ছিল অস্ট্রেলিয়ার। রেকর্ড ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন অসি মেয়েরা। এবার সেই রাজত্ব ভেঙে দিয়ে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্যাপটাউনের প্রতিশোধ দুবাইয়ে। এ যেন গত আসরের ফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ। আসরের প্রথম সেমিফাইনালে অসিদের হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ১৪ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ডের মেয়েরা। তৃতীয়বারের মতো উঠল তারা। আজ আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে প্রোটিয়া নারীদের মুখোমুখি হবে কিউইরা। ফলে এবার নতুন কোনো টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ী দেশ পাবে ক্রিকেট বিশ্ব। কেননা দুই দলের কেউই এখনো এই ফরম্যাটে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায়নি। অবশেষে দেখার বিষয় আরাধ্যের শিরোপা ধরা দেয় কার হাতে।
প্রথম সেমিফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ১৩৫ রানের লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে ১৬ বল এবং ৮ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেন প্রোটিয়া মেয়েরা। অন্যদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১২৮ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১২০ রান। ফলে ৮ রানের হারে স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায় টেইলর-জোসেফ-ক্যাম্পবেলদের।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার হারে নারী ক্রিকেটে ঘটল নতুন এক ইতিহাস। যে কোনো ফরম্যাটেই নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে এই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের মধ্যে কোনো দল নেই। গ্রুপ পর্বই পার হতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১৯৭৩ সালের পর থেকে মোট ১২টি ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রতিটি ফাইনালেই খেলেছে অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড। আর ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে ২০২৩ পর্যন্ত প্রতিটি টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালও খেলেছে অসি বা ইংলিশদের কেউ। টি-২০ বিশ্বকাপের ৬টি শিরোপা অসিদের নামে। প্রথম বিশ্বকাপ ছাড়া এই প্রথম ফাইনালে নেই অসিরা। ২০০৯ সালে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এরপর ২০১০ সাল, ২০১২ সাল এবং ২০১৪ সালে টানা তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তবে ২০১৬ সালে অসিদের হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে ক্যারিবীয়রা। আবার বিশ্বকাপ জয়ের হ্যাটট্রিক করে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৮ সাল, ২০২০ সাল এবং ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ জেতে তারা। এবার ৫১ বছর পর ভাঙল সেই রাজত্বের ধারা। গত আসরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হারের বদলা নিয়ে এবার সেই ধারায় ইতি টানল দক্ষিণ আফ্রিকা।