দারুণ পারফরম্যান্স। জ্যামাইকার কিংস্টনের সাবিনা পার্কে ১০১ রানের জয়টি নিঃসন্দেহে অবিশ্বাস্য, অবিস্মরণীয় এবং ঐতিহাসিক। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নেই। সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম নেই। দুই ব্যাটিং স্তম্ভের অনুপস্থিতি এবং নর্থ সাউন্ড টেস্টে ২০১ রানের পর্বতসমান হারে ক্যারিবিয়ান সাগরের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছিলেন মিরাজ ও তার সতীর্থরা। সেখান থেকে জ্যামাইকার কিংস্টনে ব্যাটিং ও বোলিং- উভয় বিভাগে পুরোপুরি ‘ইউটার্ন’ করে এক দিন হাতে রেখে মিরাজ বাহিনী তুলে নিয়েছে চোখধাঁধানো ও নজরকাড়া এক জয়। বিজয়ের মাসে অবিস্মরণীয় এই জয়ের নায়ক তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানা, জাকের আলি অনিকরা। তাদের বীর সেনাপতি মেহেদি হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টাইগারদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিরাজ।
ঐতিহাসিক জয়ের পর মিডিয়ার মুখোমুখিতে টাইগার অধিনায়ক জানান, প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও নেতিবাচক ক্রিকেট খেলেনি দল, ‘আমরা প্রায় ২৫ বছর (২০০০ সাল থেকে) ধরে টেস্ট খেলছি।’
আমি মনে করি এই জয়টি নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা। তার পরও প্রতিটি বিভাগে আমাদের উন্নতি করতে হবে। প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হয়েও আমরা নেতিবাচক ক্রিকেট খেলিনি।’
১৬৪ রানে অলআউট হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৬ রানে গুটিয়ে চালকের আসনে বসে মিরাজ বাহিনী। ‘স্পিড স্টার’ নাহিদ রানা ৫ উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসে ধসিয়ে দেন স্বাগতিকদের। এর পর দ্বিতীয় ইনিংসে জাকেরের ৯১ রানে ভর করে ২৬৮ রান করে। তাইজুল ৫ উইকেট নেন। এ ছাড়া তাসকিন, হাসান, নাহিদ দারুণ বোলিং করেন। দারুণ জয়ের পর বোলারদের প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন অধিনায়ক মিরাজ, ‘দারুণ বোলিং করেছে ছেলেরা। নাহিদ প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং করেন। হাসান মাহমুদ ও তাসকিনও ভালো করেছেন। তাইজুল ইসলাম দ্বিতীয় ইনিংসে অবিশ্বাস্য বোলিং করে ৫ উইকেট নেন। সে ছিল অভিশ্বাস্য। আমাদের ফাস্ট বোলিং বিভাগ দুর্দান্ত। তানজিম সাকিবও রয়েছেন। আমরা সবসময় ভাবি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কীভাবে আমাদের প্রতিটি বিভাগে উন্নতি করতে হবে। কিছু কিছু সময় আমরা ভুল করি। সেই ভুল থেকে আবার শিক্ষাও নেই।’
টেস্ট সিরিজ শেষ। এখন ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলবে দুই দল। সেন্ট কিটসে মিরাজের নেতৃত্বে ৮, ১০ ও ১২ ডিসেম্বর ওয়ানডে সিরিজ খেলবে টাইগাররা।