এবার এএইচএফ কাপ হকি খেলতে বাংলাদেশ যখন ইন্দোনেশিয়ায় গেল তখন ক্রীড়ামোদীরা নিশ্চিত ছিলেন জাতীয় হকি দল শিরোপা জিতেই দেশে ফিরবে। কেননা এ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। শেষ চার আসরে চারবারই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। কোনো শক্তিশালী দলও নেই। সেখানে শিরোপা ছাড়া আর কি কিছু আশা করা যায়? অথচ অষ্টম আশ্চর্যের ঘটনা ঘটালেন হকি খেলোয়াড়রা। শিরোপা তো দূরের কথা, ফাইনালেই উঠতে পারল না।
সেমিফাইনালে ওমানের কাছে হারায় আগামী বছর এশিয়া কাপও খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের। এমন নির্লজ্জ পারফরম্যান্সে দেশের ক্রীড়ামোদীরা বিস্মিত। সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছিল। ৪৩ বছর পর এই প্রথম এশিয়া কাপে নেই বাংলাদেশ। এমন ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ইতোমধ্যে তদন্তের কাজও শুরু করে দিয়েছে তারা। কমিটি গঠন প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘হকির ব্যর্থতা খতিয়ে দেখবে কমিটি। কেন বাংলাদেশ পারল না, তা চিহ্নিত করা জরুরি। রিপোর্ট দেখেই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
প্রশ্ন হচ্ছে, তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে কী? হকি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি খেলোয়াড়দের বয়স নির্ধারণে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতেই টুর্নামেন্টে ভরাডুবি ঘটেছে এমন কিছু বের হয়ে আসবে কী? তা ছাড়া ফাইনালের আগের দিন খেলোয়াড়দের বিশ্রামে না রেখে শপিং করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এ কাজটি কারা করেছেন তা বের করা খুবই জরুরি।