সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ২৮৬ রানে থেমে গেছে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। প্রথম দিনে ৮ উইকেট হারানোর পর আজ বুধবার মাত্র ১৪ বল টিকতে পেরেছে সফরকারীরা।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি। ব্যাট করতে নেমেই নিজের উইকেট হারান তিনি। ইনিংসের একেবারে প্রথম ওভারেই ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার হাসান মাহমুদ। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে তার বলে লেগ বিফোর হয়ে গেলেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবিরনি। ৪ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হন তিনি।
প্রথম সেশনের বাকি অংশে আর আয়ারল্যান্ডকে কোনও বিপদে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এরই মধ্যে হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন অভিজ্ঞ পল স্টার্লিং। শেষ পর্যন্ত ২৬ ওভারে ১ উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় আয়ারল্যান্ড। বিরতির পরের ওভারেই পল স্টার্লিংকে তুলে নেন নাহিদ রানা। ৬০ রান করে দ্বিতীয় স্লিপে সাদমান ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্টার্লিং। পরের ওভারে আরও এক উইকেট। মিরাজের শিকার হন হ্যারি টেক্টর। অন্যপ্রান্তে দারুণ খেলছিলেন অভিষিক্ত কারমাইকেল। হাফসেঞ্চুরিও পূরণ করেন টেস্ট মেজাজে। শেষ পর্যন্ত তার উইকেটটিও নেন মিরাজ। টাইগার অফস্পিনারের ঘূর্ণিতে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ হন কারমাইকেল, করেন ৫৯ রান।
হাফসেঞ্চুরির পথে ছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফারও (৪৪)। প্রথম স্লিপে শান্ত নেন দারুণ এক ক্যাচ। অভিষেকে উইকেটের দেখা পান হাসান মুরাদ। তার ঘূর্ণিতে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে ফিফটি মিস করেন আরেক সেট ব্যাটার লরকান টাকারও (৪১)। এরপর মিরাজকে এগিয়ে খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে স্টাম্পিং হন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন (৫)। ২২২ রানে ৭ উইকেট হারায় আইরিশরা। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ৭ উইকেট হারিয়েই দিন শেষ করতে যাচ্ছে আয়ারল্যান্ড। আর তাইজুল ইসলাম থাকছেন উইকেশূন্য। কিন্তু প্রথম দিনের শেষ বলে নেইলকে এলবিডব্লু করে বাংলাদেশকে অষ্টম উইকেট এনে দিয়ে উইকেটশিকারে নাম লেখান তাইজুল।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের দ্রুত উইকেটে তুলে নিলে আইরিশদের প্রথম ইনিংস ২৮৬ রানেই শেষ হয়ে যায়। আয়ারল্যান্ডের ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর আসে পল স্টার্লিংয়ের ব্যাট থেকে (৬০) এবং অভিষিক্ত কেড কারমাইকেল (৫৯) ফিফটি করেন। এছাড়া কার্টিস ক্যাম্পার ৪৪ এবং লোরকান টাকার ৪১ রান করেন। দ্বিতীয় দিনে তাইজুল ইসলাম প্রথমে ম্যাথু হামফ্রেসকে (০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। এর পরের ওভারেই হাসান মাহমুদ বোল্ড করেন ব্যারি ম্যাককার্থিকে (২১)।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া হাসান মাহমুদ, তাইজুল ইসলাম এবং অভিষিক্ত স্পিনার হাসান মুরাদ প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট তুলে নেন আর একটি উইকেট নেন নাহিদ রানা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ