টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭১ রানের শক্তিশালী স্কোর করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ দল। ১৭২ রানের টার্গেট সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে শারজায় চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েও বাজে ফিল্ডিং এবং অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এমন হার মনে করছেন অনেকেই।
ম্যাচের যখন ১৩ ওভার, তখন শ্রীলঙ্কা ৯০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে, ওইসময় আফিফ হোসেনের মতো পার্টটাইমারের হাতে বল কেন তুলে দিলেন রিয়াদ। এরপর আবারো নিজে কেন বোলিং করতে আসলেন। বিশেষ করে যখন সাকিবের দুই ওভার, মুস্তাফিজের তিন ওভার বাকি।
তবে লঙ্কানদের বিপক্ষে অনেকদিন পর মুশফিকুর রহিম ব্যাটে রান পেয়েছেন। বেশ কিছুদিন ফর্মে না থাকায় সমালোচকদের কথা হজম করতে হয়েছে জাতীয় দলের এই অন্যতম তারকাকে। লঙ্কানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তার জবাব যেন দিলেন মি. ডিপেন্ডেবল।কেন সাকিবকে বোলিংয়ে আনলেন না মাহমুদউল্লাহ? কেন-ই বা নিয়মিত স্পিনার নাসুমের উপর ভরসা রাখতে পারলেন না দলপতি। ম্যাচ শেষে সেই ব্যাখাই দিলেন মুশফিকুর রহিম।
'এটা আসলে ম্যাচের অংশ। উইকেট খুব ভালো ছিল। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা সেট ছিল। ইনিংসের শেষদিকেই তো গুরুত্ব অংশগুলো হয়, তখন আমরা চেয়েছিলাম সাকিবকে আনব। কারণ শেষ দিকেই তো কঠিন সময়টা আসে। আর সাকিব চ্যাম্পিয়ন বোলার, সে এই সব মুহুর্তের চাপ সইতে পারবে। আমরা এটা ভেবেছিলাম, এই হারের জন্য সাকিবকে বোলিংয়ে না আনাটা কারণ না। এখানে আমরা সঠিক সময়ে সুযোগ মিস করেছি এটাই কারণ।'
মুশফিক যে সুযোগ মিসের কথা বলেছেন সেটা তৈরি করেছিলেন আফিফ। শ্রীলঙ্কা যখন জয়ের থেকে ৭৬ রানে পিছিয়ে ছিল তখন সীমানায় রাজাপাকশের ক্যাচ ছাড়েন লিটন। সেই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর রাজাপাকশা ৫৩ রান করেন। ওই সুযোগে বাংলাদেশ উইকেট পেলে ফল ভিন্ন হতে পারত বলে মনে করেন মুশফিক।
আফিফ একমাত্র ওভারে ১৫ এবং মাহমুদউল্লাহ প্রথম ওভারে ৬ রান দেওয়ার পর পরের ওভারে ১৬ রান দেন। আফিফের জায়গায় কেন সাকিবকে দিয়ে আরেকটি ওভার করানো হলো না? এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেছেন,‘সাকিবের জায়গায় যে বোলিং করেছে সে কিন্তু একটা সুযোগ তৈরি করেছে। সেটা কাজে লাগাতে পারলে পরে ডানহাতি ব্যাটসম্যান আসত। তখন সাকিব আরও বেশি কার্যকর হতে পারত। ফল দেখে এগুলো বিচার করাটা আমার কাছে তথাকথিত মনে হয়। আমার মনে হয় সঠিক সময়ে সেরা বোলাররা বোলিং করছে কি না এটা গুরুত্বপূর্ণ।'
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ