বুধবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

‘মডেল পাই’ ফোনে বদলে যেতে পারে স্মার্টফোন...

‘মডেল পাই’ ফোনে বদলে যেতে পারে স্মার্টফোন...

যারা অতীতে অ্যাপলের নতুন ফোনটি সবার আগে হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেন তারা সেই উত্তেজনা কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারবেন। কারণ বাজারে আসছে ইলন মাস্কের পাইফোন। এক সময় অ্যাপলের নতুন ফোন বাজারে ছাড়ার রাতে মানুষ ছুটে যেতেন। সত্যি কথা বলতে, স্মার্টফোন এখন মানুষের হাতে হাতে চলে আসায় এখন আর মানুষের মধ্যে তা নিয়ে সেই আগের মতো উত্তেজনাবোধ করার মতো কিছু নেই। কিন্তু টেসলা পাই ফোন অন্য সব স্মার্টফোন থেকে একেবারে আলাদা হতে যাচ্ছে। এবার টেসলা থেকে স্মার্টফোন ‘মডেল পাই’ বাজারে আসছে। টেসলার এই সুপার ফোনের পেছনে থাকবে ৪ লেন্সের ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। সাধারণত স্বল্প আলোবিশিষ্ট কিছুর ছবি তুলতে হলে অনেকক্ষণ ধরে আলো গ্রহণ করার পর বাজারের বর্তমান ফোনগুলোয় ছবি তোলার ফিচার আছে। কিন্তু পাই ফোনে, তারাভরা আকাশের ছবি তোলা যাবে কোনো ধরনের লং এক্সপোজার ছাড়াই। জ্যোতির্বিজ্ঞানমনস্ক কিংবা শৌখিন ফটোগ্রাফারদের জন্য এটি হতে পারে সবচেয়ে প্রিয় বস্তু। ফোনের পেছনের পৃষ্ঠে ফটোক্রোমিক প্রলেপের কারণে সূর্যের আলোর প্রভাবে রং বদলাবে। টেসলার সোলার প্যানেল উৎপাদন ফ্যাসিলিটি কাজে লাগিয়ে পাই ফোনে থাকবে সূর্যের মাধ্যমে চার্জ দেওয়ার সুবিধাও।

ফোর কে রেজুলেশনের স্ক্রিন হবে সাড়ে ৬ ইঞ্চি। ফোনের স্টোরেজ বা মেমোরি হবে ২ টেরাবাইট! মোটামুটি গড়পড়তা দুটি কম্পিউটারের সমান মেমোরি থাকবে বলা যায়। অধিক স্টোরেজের ফলে বিশাল পরিমাণ ভার্চুয়াল ফাইল সব সময় সঙ্গেই রাখা যাবে। এ ছাড়া থাকতে পারে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগনের চিপসেট। ফাইভ-জি প্রযুক্তির স্যাটেলাইট ফোন হবে অন্যতম চমক। অর্থাৎ মহাকাশে থাকা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে ইন্টারনেট। ইলন মাস্কের চলমান প্রজেক্ট স্টারলিংক সেই প্ল্যাটফরম তৈরি করে চলেছে। এখন বরং ওই প্ল্যাটফরমকে ব্যবহারের জন্য উপযোগী ডিভাইস হিসেবে যুক্ত হতে পারে স্মার্টফোন পাই। নানা সূত্র বলছে, এর দাম হতে পারে ৮০০ থেকে ১২০০ ডলার। সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে এই ফোনের নেটওয়ার্কের জন্য স্থানের কোনো ভেদাভেদ নেই। বন, পাহাড়, সাগর যে কোনো দুর্গম এলাকায় এটি থাকবে সক্রিয়। স্যাটেলাইটকে পৃথিবীর আবহাওয়া-সংক্রান্ত কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না বলে, দিন-রাতের তফাতেও কোনো হেরফের হবে না এ ফোনের যোগাযোগে। বলা হচ্ছে, টেসলার গাড়ির সব ধরনের ফিচারও এই ফোনে ব্যবহার করা যাবে পূর্ণ স্বাধীনতায়। মাস্কের আরেক উদ্যোগ নিউরালিংক প্রযুক্তিও এর সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। নিউরালিংক হচ্ছে মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সংযোগ। অর্থাৎ এ প্রযুক্তি থাকলে অনেক কাজের জন্য কেবল চিন্তা করেই নির্দেশ দেওয়া যাবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কেউ  ইউটিউব চালানোর ইচ্ছা প্রকাশ করলেই ফোনে চলতে থাকবে।  বলতে গেলে মাস্কের অধীনে থাকা অধিকাংশ প্রজেক্টই এই ফোনের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে। বাদ যাবে না এই ফোনে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাইনিংও।

 

লেখা : আইটি ডেস্ক

সর্বশেষ খবর