তথ্য সংরক্ষণের জন্য মোবাইল, কমিউটার, ট্যাবসহ আধুনিক ডিভাইসগুলোয় মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মানব মস্তিষ্কে তো আরও বেশি ব্যস্ত, অনেক বেশি তথ্য থাকে তার মধ্যে। তবে সময় বিশেষে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা তো থেকেই যায়। এবার মানব মস্তিষ্কেও বসানো হবে মেমোরি কার্ড, যেন পুরনো কোনো কথা আর কেউ ভুলে না যায়। পাশাপাশি থাকবে আরও সুবিধাও।

অবাক হওয়ার মতোই বিষয়। আপনার এমন ধোঁয়াশা দূর করতে কাজ করছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান নিউরোটেক স্টার্টআপ নিউরালিংক। তবে ব্রেন চিপ নিয়ে কাজ করতে গেলে প্রয়োজন ট্রায়ালের। ইতোমধ্যেই এই ব্রেন চিপ একটি বানরের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে দেখা গেছে, ব্রেনে চিপ স্থাপনের পর সে মন দিয়ে ভিডিও গেম খেলতে পারছে। এখন মানুষের মস্তিষ্কে পরীক্ষা চালানোর প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে। সম্প্রতি নিউরালিংক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডিরেক্টরের জন্য একটি চাকরি সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যারা এই কাজের জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই এই কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। পাশাপাশি এই কাজের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী এবং ভালোবাসা থাকাটাও দরকার। নির্বাচিত ব্যক্তিরা নিউরালিংকের প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী হিসেবে কাজ করারও সুযোগ পাবেন।

কিন্তু কেন এই ভাবনা?

ইলন মাস্কের মতে, প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বা যারা স্মৃতি হারিয়ে ফেলার মতো ভয়ঙ্কর সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছেন, মূলত তাদের কথা চিন্তা করেই এই ভাবনা।

ইলন মাস্ক বলেছেন, নিউরালিংক ডিভাইসটি একটি ছোট্ট কয়েনের আকারের এবং এটি খুব সহজেই মাথার ভিতরে স্থাপন করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে প্রথমে মস্তিষ্কের ব্যাধি এবং রোগে আক্রান্তদের নিরাময় দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

এটি সফল হলে- শুধু এই একটি যন্ত্রের সাহায্যেই মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ডের সমস্যা সহজেই সমাধান করা যাবে। এর মাধ্যমে পক্ষাঘাত, শ্রবণশক্তি ও অন্ধত্বের সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে। শুধু তা-ই নয়, এই ডিভাইসের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যাবে মানুষের স্মৃতি। এটি দিয়ে মস্তিষ্কের সঙ্গে সরাসরি কম্পিউটারকে সংযোগ করা যাবে।