বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

চলতি বছরেও বাড়বে তথ্য-প্রযুক্তির বিনিয়োগ

বিশ্বজুড়ে চলতি বছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যয় ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে। মূল্যস্ফীতি, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও দক্ষ জনবলের সংকটসহ নানা সমস্যা থাকলেও প্রযুক্তি খাতে বৈশ্বিক বিনিয়োগের আকার বাড়বেই...

রকমারি ডেস্ক

চলতি বছরেও বাড়বে তথ্য-প্রযুক্তির বিনিয়োগ

বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দক্ষ কর্মী ঘাটতি ব্যাপক হারে বেড়েছে। আশঙ্কা ছিল এরই মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়বে নাকি কমবে। এমন সংকটময় মুহূর্তে আশা জাগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গার্টনার ইনকরপোরেটেড’। সংস্থাটি জানিয়েছে- চলতি বছরে প্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগের সম্ভাব্য আকার ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার ছাড়াবে।

 

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, প্রযুক্তি খাতে নানা জটিলতা ও চ্যালেঞ্জ থাকলেও, সেবায় কোনো বাধা এলে সেটি মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে এই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াচ্ছে। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার জানিয়েছে, স্মার্টফোন এবং বাণিজ্যিক কম্পিউটারের মতো হার্ডওয়্যারের ওপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কিছুটা কমলেও, সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তিনির্ভর সেবার বাজারে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব বাড়ছে। পাশাপাশি আইটি খাতে দক্ষ ও প্রতিভাবান কর্মীর ঘাটতির কারণে প্রযুক্তি সেবাগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার প্রবণতা বাড়ছে এবং সেবাদাতারাও তাদের সেবার দাম বাড়াচ্ছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে এ খাতের ব্যয় বাড়াতে সাহায্য করছে। আর এই বাড়তি দামের কারণে প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে আইটি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার খাতে চলতি বছর ও আগামী বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সংস্থাটি বলছে, এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, অবকাঠামোগত সফটওয়্যার এবং ইন্টারনেট নির্ভর নানা সেবার ঊর্ধ্বমুখী জনপ্রিয়তা স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটাই প্রমাণ করছে যে, ডিজিটাল রূপান্তর একটি চলমান ‘ট্রেন্ড’।

 

গার্টনার ইনকরপোরেটেড-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট জন ডেভিড লাভলক বলেন, চলতি বছর প্রধান তথ্য কর্মকর্তাদের জন্য ব্যস্ত বছর হবে। ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি, মুদ্রামানের তারতম্য ও সরবরাহ চেইনের সমস্যা বড় ঘটনা। এর মধ্যে ২০২০ সালের শুরু থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান তথ্য কর্মকর্তারা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তাদের বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। কেননা তারা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ, ক্লাউড কম্পিউটিং, গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা প্রদান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০২২ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও ক্রয় অব্যাহত থাকবে।

 

গবেষণা সংস্থাটির দেওয়া তথ্য বলছে, ডেটা সেন্টার সিস্টেমের পেছনে বিনিয়োগ করা হবে ২১ কোটি ৮০ লাখ ডলার, আইটি সেবায় বিনিয়োগ হবে ১২০ কোটি ডলার এবং ভিওআইপি ও বাণিজ্যিক ফোন সিস্টেমের মতো যোগাযোগ সেবার পেছনে বিনিয়োগ করা হবে ১৪০ কোটি ডলার। বৈশ্বিক পর্যায়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব পড়লেও বছরজুড়ে আইটি খাতের বিনিয়োগের ওপর এর বড় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বরং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিনিয়োগের যে পরিকল্পনা করেছেন, তার ওপর মুদ্রাস্ফীতি, দক্ষ কর্মীর অভাব এবং সরবরাহ ব্যবস্থার অস্থিতিশীলতাই বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর