বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ডেটা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সমুদ্রের তলদেশে ছড়িয়ে আছে অপটিক্যাল-ফাইবার কেবল। যার মাধ্যমে ভূমিকম্প ও সুনামি চিহ্নিত করা যাবে বলে আশা করছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির (এনপিএল) জানান, কানাডার হ্যালিফ্যাক্স আর যুক্তরাজ্যের সাউথপোর্ট, ল্যাঙ্কাশায়ারের মধ্যে সংযোগস্থাপনকারী অপটিক্যাল-ফাইবারের মাধ্যমে ভূমিকম্প এবং ঢেউ ও স্রোতপ্রবাহে পরিবর্তন চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। গবেষকদের দাবি, গভীর সমুদ্রের ‘সায়েন্টিফিক সেন্সর’ হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব ইন্টারনেট কেবলগুলো। তারা বলছেন, সমুদ্রের তলদেশের নজর রাখার জন্য স্থায়ী সেন্সর যোগ করার প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল হওয়ায় বৈশ্বিক পর্যায়ে এমন সেন্সরের সংখ্যা খুবই কম। এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, বিশ্বব্যাপী সমুদ্রের তলদেশে ছড়িয়ে থাকা ফাইবার-অপটিক কেবলের সংখ্যা ৪৩০টিরও বেশি। যার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ১৩ লাখ কিলোমিটার। পারিপার্শ্বিক কম্পন, চাপ ও তাপের তারতম্যে প্রভাবিত হয় কেবলগুলোর ডেটা প্রবাহ। এ ডেটা প্রবাহের পরিবর্তনগুলো উচ্চমাত্রায় সংবদেনশীল যন্ত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব।