সাইবার ফ্লাশিংয়ের শিকার নারীদের সুরক্ষা দিতে নতুন ফিচার আনছে ইনস্টাগ্রাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরিচিত ব্যক্তিকে বন্ধু বানিয়ে অনেকেই পড়েন বিপদে। অনুমতি ছাড়াই ইনস্টাগ্রামে মেসেজে পর্নোগ্রাফি বা নগ্ন ছবি পাঠিয়ে নারীদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেন সাইবার অপরাধীরা। সামাজিকতা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্নও হন না অনেকে। এ সমস্যা সমাধানে বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। ইনস্টাগ্রামে এখন থেকে আর অশ্লীল ছবি বা ভিডিও পাঠালেও তা ওপেন হবে না। ফলে সাইবারফ্ল্যাশিং থেকে মুক্ত থাকবেন ব্যবহারকারীরা। এ ফিচারটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখনো এ ফিচারটির কাজ চলছে।

সম্প্রতি টুইটারে একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন মেটা। সেখানে তিনি বলেন, চ্যাটে নগ্নতা প্রতিরোধের কাজ চালাচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। চ্যাটে নগ্ন ছবি ভিডিও থাকলে তা টেকনোলজির মাধ্যমে ঢেকে দেওয়া হবে। অর্থাৎ ছবিগুলো ব্লার অবস্থায় দেখাবে। ওই ছবি অ্যাক্সেসের অনুমতিও মিলবে না।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাইবার ফ্ল্যাশিংয়ের জন্য আইন রয়েছে। যুক্তরাজ্যের আসন্ন অনলাইন নিরাপত্তা বিলে সাইবার ফ্ল্যাশিংকে একটি অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায় এটির জন্য একটি আইন পাস করেছে সে দেশের সরকার। এ ছাড়াও ২০১৯ সালে টেক্সসাসে সাইবার ফ্ল্যাশিংয়ের ওপর একটি আইন পাস করেছে। সেখানে এটি অপরাধ বলেই ধরে নেওয়া হয় এবং অপরাধীকে শনাক্ত করার পর জরিমানা করা হয় ৫০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত।