মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

খুলনা-মংলা রেললাইন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

মংলা বন্দরের সঙ্গে নতুন রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। আরও গতিশীল হবে মংলা বন্দরের কার্যক্রম। সেই সঙ্গে বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়া অনেক সহজ হবে। কমে যাবে পণ্য পরিবহন ব্যয়ও। যা ব্যবসায়ীদের লাভবান করবে। বাণিজ্যে খুলে যাবে নতুন সম্ভাবনার দ্বার। পাশাপাশি মংলা বন্দরের আন্তর্জাতিক ব্যবহারের পথও উন্মুক্ত হবে।

প্রসঙ্গত, সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ও ভারতীয় ঋণে ৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেললাইনটি নির্মিত হবে। এর মধ্যে ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতু থাকবে। রেললাইন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। জানা গেছে, প্রকল্পটি তিন অংশে বিভক্ত। একটি রেলসেতু, অপরটি রেললাইন এবং অন্যটি টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং। নতুন রেলসেতুটি নির্মিত হবে রূপসা নদীর উপরে থাকা হজরত খানজাহান আলী সেতুর দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে। খুলনার ফুলতলা উপজেলা থেকে শুরু হয়ে রূপসা সেতুর দক্ষিণ পাশ দিয়ে মংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথে আটটি স্টেশন থাকবে। এগুলো হচ্ছে ফুলতলা, আড়ংঘাটা, মোহাম্মদনগর, কাটাখালী, চুলকাটি, ভাগা, দিগরাজ ও মংলা। খুলনা রেলওয়ে স্টেশন ও মংলা বন্দরের অভ্যন্তরে মালামাল পরিবহনের জন্য দুটি সংযোগ লাইন যুক্ত হবে। পুরো রেলপথে ২১টি ছোট ব্রিজ ও ১১০টি কালভার্ট নির্মিত হবে। প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুনে শেষ হবে। জানা যায়, রেললাইন প্রকল্পের খুলনা অংশে ৪০০ একর, বাগেরহাট অংশে ২৭৮ একর এবং বন্দর এলাকায় ৭৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. সুলতান আলম বলেন, প্রকল্পের চাহিদা অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।

খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, এর মাধ্যমে চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে। খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেন, এটি চালু হলে বন্দরে পণ্য পরিবহন ব্যয় অনেক কমে যাবে।

সর্বশেষ খবর