মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

বধ্যভূমি, জলাশয় বাঁচিয়ে সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ

রাহাত খান, বরিশাল

বধ্যভূমি, জলাশয় বাঁচিয়ে সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ

বধ্যভূমি কিংবা জলাশয় ভরাট করে নয়, বরিশালে সাইলো (আধুনিক পণ্য সংরক্ষণাগার) নির্মিত হবে কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারের পুরনো পরিত্যক্ত ভবনগুলো ভেঙে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে নগরীর কীর্তনখোলা নদীসংলগ্ন সিএসডি (সেন্ট্রাল সাপ্লাই ডিপো) অপসরণ করে সেখানে সাইলো নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ মার্চ জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এক সভায় সিএসডি গোডাউন ভেঙে ফেলতে প্রাক্কলন তৈরির জন্য গণপূর্ত বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৯৬২ সালে প্রায় ২৮ একর জমি নিয়ে কেন্দি য় খাদ্য সংরক্ষনাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে ২৮টি গোডাউনে ধারণ ক্ষমতা ২২ হাজার ৭৮০ মেট্রিক টন। এখানে কর্মরত রয়েছেন ৬৮ জন কর্মকর্তা শ্রমিক কর্মচারী। ২৮টি গোডাউনের বেশির ভাগই ব্যবহার অনুপযোগী। গত বছরের শেষ দিকে জাইকার অর্থায়নে সরকার সারা দেশে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি সাইলো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। বরিশালে একটি জলাশয় ভরাট করে সাইলো নির্মাণের কাজ শুরু হলে তীব্র প্রতিবাদ জানায় স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীরা। তাদের বাধায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জলাশয়, বধ্যভূমি এবং পাশের পতিত জমি পরিদর্শন করে পুরনো গোডাউন ভেঙেই সাইলো নির্মাণের নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে জলাশয়ের প্রায় অর্ধেক ভরাট হয়ে যায়। এক পর্যায়ে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বরিশাল কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক বি এম সফিকুল ইসলাম জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সাইলো নির্মাণের জন্য পুরনো ২৮টি গোডাউনের মধ্যে ১৩টি ভেঙে ফেলা হতে পারে।

বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এস এম ইকবাল বলেন, সাইলো যেখানেই হোক না কেন, বধ্যভূমি ও জলাশয় সংরক্ষণ করে করতে হবে। সাইলো প্রকল্পের সমন্বয়ক উপ-সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, স্থানীয়দের আপত্তির মুখে সরকার পুরনো গোডাউন ভেঙে সাইলো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে পুরনো গোডাউন ভেঙে সাইলো নির্মাণের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। পুরনো গোডাউন অপসারণ হলেই সাইলো নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর