মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

হকার-চোরদের কাজে আসছে মিনি ডাস্টবিন!

জিন্নাতুন নূর

হকার-চোরদের কাজে আসছে মিনি ডাস্টবিন!

২০১৬ সালকে পরিচ্ছন্ন বছর ঘোষণার পর রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের অংশ হিসেবে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে বসানো হয়েছে ইস্পাতের মিনি ডাস্টবিন। দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ‘পরিচ্ছন্ন বছর’ এবং উত্তর সিটির ‘সবুজ নগরী’ গড়ে তোলার অংশ হিসেবে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে এগুলো বসানো হয়েছে। কিন্তু অনেক এলাকায় ডাস্টবিন ময়লা-আবর্জনা ফেলার পরিবর্তে তা হকারদের পণ্য রাখার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবার কিছু এলাকায় চোররা বিনগুলো কেজি দরে বিক্রি করে দিচ্ছে।

নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এই মিনি ডাস্টবিনগুলোতে চায়ের দোকানের খাবার, খেলনা বিক্রেতাদের পণ্য ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য ইত্যাদি ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। ফুটপাথ দখল করে হকাররা পণ্য বিক্রি করায় বেশ কিছু এলাকায় এই ডাস্টবিনগুলো বিক্রেতাদের পণ্যের আড়ালে ঢাকা পড়েছে। মিরপুর টেকনিক্যাল এলাকায় বশিরউদ্দিন স্কুলের বিপরীতে রাস্তার ওপর সবজি বিক্রেতাদের সবজি দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা পড়ে এই ডাস্টবিন। আবার শ্যাওড়াপাড়া এলাকার কাঁচাবাজারের সামনে ডাস্টবিন থাকলেও এর পরিবর্তে ময়লা ফেলা হচ্ছে ডাস্টবিনের বাইরে। আবার কিছু এলাকার ডাস্টবিন চোররা চুরি করায় শুধু লোহার কাঠামোটি থাকলেও বিনটি নেই। গুলশানের মতো ব্যস্ত এলাকাতে যেমন ডাস্টবিন চুরির ঘটনা ঘটেছে, একইভাবে কাজিপাড়া বাসস্ট্যান্ডেও বিন চুরি হয়েছে। মূলত ঢাকার যেসব স্থানে জনসমাগম বেশি সেসব এলাকায় ১৫০ মিটার পর পর এই ডাস্টবিনগুলো বসানো হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে পাঁচ হাজার এবং উত্তরে তিন হাজার ডাস্টবিন বসানোর কাজ চলছে। ঢাকার গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, মতিঝিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, বনানী, আগারগাঁও ও মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় এই ডাস্টবিনগুলো দেখা যাচ্ছে। যেখানে শুকনো ময়লা যত্রতত্র না ফেলে এই বিনে ফেলার জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে এগুলো তৈরি হয়েছে। আর স্থাপন, ভ্যাট ও আয়করসহ প্রতিটি ডাস্টবিনের দাম পড়েছে প্রায় আট হাজার টাকা।

সর্বশেষ খবর