মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

সমস্যা জর্জরিত কুমিল্লার কবরস্থান

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

সমস্যা জর্জরিত কুমিল্লার কবরস্থান

মানুষের শেষ ঠিকানা কুমিল্লা নগরীর কবরস্থানগুলো বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। এগুলোর মাটি ভরাট, বাউন্ডারি ওয়াল, ওজুখানা ও লাইটিংসহ বিভিন্ন সংস্কার কাজ প্রয়োজন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীতে বড় কবরস্থান রয়েছে ৬টি। ব্যক্তি মালিকানার কবরস্থান রয়েছে আরও ২০টির মতো। উল্লেখযোগ্য কবরস্থানগুলো হচ্ছে বিষ্ণপুর, টিক্কারচর, টমছম ব্রিজ, বাদশা মিয়ার বাজার, ছোটরা, মুরাদপুর ও নোয়াপাড়া। বিষ্ণপুর কবরস্থানকে নগরীর সবচেয়ে বড় কবরস্থান হিসেবে ধরা হয়। বিষ্ণপুর নাম হলেও এ কবরস্থানে বিষ্ণপুর, কাপ্তানবাজার ও মোগলটুলী এলাকার মৃত লোকজনকে কবর দেওয়া হয়।

কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল আলম বলেন, জনশ্রুতি রয়েছে এই কবরস্থানের বয়স ২৫০ বছর। বিষ্ণপুর, কাপ্তানবাজার এলাকার মৃত লোকদের কবর দেওয়ার স্থানটি সরকারি। মোগলটুলী এলাকার স্থানটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। তবে এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে খোঁজখবর নিচ্ছি। কবরস্থানের মুনাজাত অঙ্গন তৈরি ও কেয়ারটেকারের বেতন বাড়ানো প্রয়োজন। এ কবরস্থানে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান এটিএম শামছুল হক উল্লেখযোগ্য অনুদান দিয়েছিলেন। এরপরে আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি ও সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু অনুদান দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ৬০ বছরের জীবনের থাকার বাসার জন্য কোটি টাকা খরচ করা হয়। হাজার বছরের বাসস্থান কবরস্থান নিয়ে অনেকের কোনো চিন্তা নেই। স্থানীয়রা বছরে ১০০ টাকা করে চাঁদা দিলে অনেক টাকা উঠে। এতে কবরস্থান রক্ষণাবেক্ষণে কমিটিকে বেগ পেতে হবে না। টিক্কারচর কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, মুরব্বিদের মুখে শুনেছি কবরস্থানের বয়স ৫০০ বছর হবে। এখানে মাটি ভরাট, লাইটিংসহ অনেকগুলো কাজ করতে হবে। টমছম ব্রিজ কবরস্থানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু সাইয়িদ বলেন, কমিটি ও স্থানীয়দের চাঁদা দিয়ে কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। সিটি করপোরেশন কবরস্থানের রাস্তার কাজটি করে দিয়েছে।

সিটি করপোরেশনের সচিব মো. হেলাল উদ্দীন জানান, বিষ্ণপুর, টিক্কারচর, বাদশা মিয়ার বাজার ও মুরাদপুরের চারজন কেয়ারটেকারের সম্মানী সিটি করপোরেশন থেকে দেওয়া হয়। সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, বিষ্ণপুর, টিক্কারচর, বাদশা মিয়ার বাজার ও মুরাদপুরসহ কয়েকটি কবরস্থানের তদারকি করছে সিটি করপোরেশন। এগুলোর রাস্তা, বাউন্ডারি ও লাইটিং সিটি করপোরেশন করে দিচ্ছে। কেয়ারটেকারদের বেতন বাড়ানোসহ অন্য উন্নয়ন কাজগুলোও পর্যায়ক্রমে করা হবে।

সর্বশেষ খবর