মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘বিশেষ’ মর্যাদা চান ঢাকার কাউন্সিলররা

রফিকুল ইসলাম রনি

‘বিশেষ’ মর্যাদা চান ঢাকার কাউন্সিলররা

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা ‘বিশেষ’ মর্যাদা চান। সম্প্রতি দুই মেয়র আনিসুল হক ও মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে মন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার পর জোর দাবি তুলেছেন কাউন্সিলররা। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর থেকে নির্বাচতি ৯৩ জন কাউন্সিলর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবি তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে। 

কাউন্সিলররা বলছেন, মেয়রের মর্যাদা বাড়ানো হয়েছে, মন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আমরা কাছাকাছি মর্যাদা দাবি করছি না, আমাদের স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য কোনো মর্যাদা চাই। হতে পারে সেটা সরকারের মন্ত্রিসভার নিম্নতর উপমন্ত্রী মর্যাদা বা অতিরিক্ত সচিবের ‘বিশেষ’ মর্যাদা। অন্তত রাজধানীবাসীর জন্য হলেও করা দরকার। কারণ, ঢাকার কাউন্সিলর আর একটি তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভার কাউন্সিলের সমমর্যাদা দেওয়া রয়েছে। অথচ পৌরসভার কাউন্সিলররা খুব বেশি রাজস্ব জোগান দিতে পারেন না, তারা সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকেন। আর ঢাকার কাউন্সিলররা সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করে দেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ওয়াহিদুল ইসলাম মিল্টন বলেন, ঢাকার কাউন্সিলর আর একটি তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভার কাউন্সিলের সমান মর্যাদা দেওয়া আছে। অথচ তারা কেউ কেউ সর্বোচ্চ ৫ হাজার ভোটে নির্বাচিত হন। আর আমরা কমপক্ষে ৫০ হাজার ভোট বা কেউ কেউ দেড় লাখ ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত। অন্যদিকে পৌরসভার মেয়ররা উন্নয়নের জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকেন। আর আমরা নিজেরা রাজস্ব আয় করে উন্নয়ন করি, সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব দেই। কাজেই আমাদের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন।

দক্ষিণের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট এম এ হামিদ খান বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধি কিন্তু কোথাও গেলে সেই অনুপাতে প্রটোকল পাই না। আমাদের একটা পদমর্যাদা দেওয়া দরকার। কমপক্ষে আমাদের অতিরিক্ত সচিবের মর্যাদার সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাছিম মিয়া বলেন, সিটি করপোরেশনে আমরা শেষ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি। জনগণের সঙ্গে আমাদের চেয়ে অন্য কেউ আর সরাসরি সম্পৃক্ত নেই। আমাদের অনেক কাজ করতে হয়। তাই আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানাব তিনি আমাদের বিমুখ করবেন না। ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু বলেন, পদমর্যাদাসহ আমাদের সম্মানীভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। আমরা শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। তিনি যদি আমাদের কথা শোনেন, তাহলে অবশ্যই আমাদের দাবি পূরণ হবে।  ঢাকা দক্ষিণের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন বলেন, সম্মান থাকলে বাড়ানোর কথা বলা যায়, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সুযোগ-সুবিধা খুবই কম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়রদের মন্ত্রী মর্যাদা দিয়ে সম্মানিত করেছেন, আশা করি তিনি আমাদেরও সম্মানিত করবেন।

সর্বশেষ খবর