মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

শৃঙ্খলা ফিরেছে নগর পরিবহনে

রাহাত খান, বরিশাল

শৃঙ্খলা ফিরেছে নগর পরিবহনে

বরিশাল নগর পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। গত পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে নগরীর সদর রোডসহ ব্যস্ত সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে নগরবাসীর।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আবু সালেহ মো. রায়হান জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে সদর রোডসহ প্রধান প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্য সড়কেও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করা হবে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিপূর্বে উচ্চ আদালত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়। এই আদেশ বাস্তবায়নের জন্য বিআরটিএ, পুলিশ এবং সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয়। ওই আদেশের আগেই বরিশাল সিটি করপোরেশন ইতিপূর্বে তাদের অনুমোদন দেওয়া ২ হাজার ৬১০টি অটোরিকশার লাইসেন্স ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য নবায়ন করে। গত ৩০ জুলাই ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হওয়ার গুঞ্জন ছিল। কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বরিশাল সিটি করপোরেশন ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের জন্য (১ বছর) ফের ২ হাজার ৬১০টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা লাইসেন্স নবায়ন করে। সিটি করপোরেশন ২ হাজার ৬১০টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স দিলেও বরিশাল নগরীতে চলাচল করে ৫ সহস্রাধিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। অটোরিকশার আধিক্যের কারণে বরিশাল নগরীর সদর রোড, গীর্জা মহল্লা, ফজলুল হক এভিনিউ, চকবাজারসহ ব্যস্ততম সড়কগুলোতে যানজট লেগেই থাকত। পায়ে হেঁটে সদর রোডে চলাচল কিংবা রাস্তা পারাপার ছিল দুরূহ ব্যাপার। দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ছিল নিত্যদিনের।

পুলিশ বিভাগ দেরিতে হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়ে নগরীর সদর রোডসহ ব্যস্ততম সড়কগুলোর স্বাভাবিক চেহারা ফিরিয়ে এনেছে। পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে ট্রাফিক বিভাগ জেলখানা মোড় থেকে জিলা স্কুল মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক, চকবাজার, গির্জা মহল্লা ও ফজলুল হক এভিনিউতে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে স্বাভাবিক চেহারায় ফিরে এসেছে নগরীর প্রাণ সদর রোড। মানুষজনও নির্বিঘ্নে রাস্তা পারাপারসহ হাঁটাচলা করতে পারছে। ব্যবসায়ীরা পেয়েছেন স্বস্তি। প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ থাকায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে রিকশা, মাহেন্দ্র আলফা এবং গ্যাসচালিত অটোরিকশাগুলো।

মহসিন বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দা বলেন, সদর রোডে আগে রাস্তা পার হওয়া যেত না। রাস্তা পার হতেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। কিন্তু এখন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমীন বলেন, তিনি কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে এ জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর