বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

যাত্রী সংকটে হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি

জয়শ্রী ভাদুড়ী

যাত্রী সংকটে হাতিরঝিলের  ওয়াটার ট্যাক্সি

যাত্রী সংকটে ওয়াটার ট্যাক্সি ছবি : জয়ীতা রায়

সৌন্দর্য উপভোগ আর যানজট থেকে মুক্তি দিয়ে নগরজীবনে নৌযানে ভ্রমণপিপাসা মেটাচ্ছে হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি। ঝিলের বুক চিরে ঢেউ তুলছে এই জলযান। কিন্তু চালু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই যাত্রী সংকটে ভুগছে জলযানটি। ওয়াটার ট্যাক্সির ভাড়া বাসের চেয়ে বেশি হওয়ায় এবং সময় বেশি লাগায় পর্যাপ্ত যাত্রী পাচ্ছে না এই জলবাহন।

সরেজমিন মেরুল বাড্ডা পয়েন্টের ওয়াটার ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের দিকে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ১০টার দিকে মাত্র তিনজন যাত্রী বসে আছেন ট্যাক্সির ভিতরে। কিন্তু আর যাত্রী না হওয়ায় এবং অনেকক্ষণ বসে থাকায় রীতিমতো বিরক্ত তারা। বাড্ডার অনামিকা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী আলিমুল ইসলাম বলেন, বাসের যানজট ঠেলে অফিসে গিয়ে কাজ করার মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই ওয়াটার ট্যাক্সি চালু হওয়া থেকে এটাতেই যাওয়া-আসা করি। কিন্তু যাত্রী না হওয়ায় অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। এভাবে সময় নষ্ট করা সম্ভব নয়। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে নাফিজা আক্তার নামের আরেক যাত্রী বলেন, সময়তো নষ্ট হচ্ছেই এর সঙ্গে ভাড়াও বাসের চেয়ে বেশি। বাসে গেলে ১০-১৫ টাকায় যেতে পারতাম সেখানে ওয়াটার ট্যাক্সিতে গেলে আমাকে গুনতে হবে ২৫ টাকা। আবার এর চলার গতিও অনেক কম। সকালে তেমন যাত্রী না হলেও হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা ভ্রমণপিপাসুদের কল্যাণে বিকালের দিকে কিছুটা যাত্রী দেখা যায় ওয়াটার ট্যাক্সিগুলোতে।

 

তবে ওয়াটার ট্যাক্সির জনপ্রিয়তা বাড়াতে এবং বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করতে এই মাসের শেষে চালু হবে রঙিন পানির ঝরনা। কাঠামোগত কাজ প্রায় শেষ এখন সংযোগের কিছু কাজ বাকি বলে রাজউক সূত্র জানায়। এতে যাত্রী আগের তুলনায় বাড়বে বলেও আশা তাদের। 

মেরুল বাড্ডা পয়েন্টে ওয়াটার ট্যাক্সি স্টপেজের কর্মী মিজানুর রহমান জানান, ৪টা ট্যাক্সি এখন চলাচল করছে। আরও একটি ট্যাক্সি খুব শিগগিরই যোগ হবে। ওয়াটার ট্যাক্সির সেবা প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে। সকালের তুলনায় বিকালে ভিড় কিছু বাড়ে বলে জানান তিনি। হাতিরঝিলকে বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যেতে রকমারি খাবারের রেস্টুরেন্ট তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। এ ছাড়া গুলশান-নিকেতন মুক্তমঞ্চ নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলছে। এ মঞ্চ তৈরি হলে প্রায় দুই হাজার দর্শক এক সঙ্গে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন।

জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমে দুর্গন্ধের কারণে যে হাতিরঝিল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল নগরবাসী এখন সেটাই বিনোদনের জনপ্রিয় স্পট। ২০০৭ সালে সমন্বিত প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু হয়ে ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে হাতিরঝিল। রাজউক চেয়ারম্যান বজলুল করিম চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, হাতিরঝিলকে বিনোদনের স্পট হিসেবে পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে আমরা থিয়েটার নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। অন্য কাজগুলোও সমান্তরালভাবে এগিয়ে চলছে। সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা কাজ করছি।

সর্বশেষ খবর