বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মাথার ওপর তারের জঞ্জাল

মানিক মুনতাসির

মাথার ওপর তারের জঞ্জাল

ঝুঁকিপূর্ণ ঝুলন্ত তার অপসারণের নির্দেশ দেওয়ার দুই বছর পেরুলেও তা কার্যকর হয়নি। এখনো রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে মাথার ওপর ঝুলছে তারের জঞ্জাল। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের দেয়াল ঘেঁষেও ঝুলন্ত তারের জঞ্জাল দেখা যায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের পূর্ব পাশে সচিবালয়ের পশ্চিম দেয়ালে বিদ্যুতের খাম্বা ঘেঁষে বিদ্যুৎ, ডিস এন্টেনা, ইন্টারনেট ও টেলিফোনসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা সংস্থার তারের জটলা ঝুলছে। এই তারের জটলা মাটিতেও পড়ে থাকতে দেখা গেছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল যেমন বিঘ্ন হচ্ছে, তেমনি যে কোনো সময় এ তারের সঙ্গে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণহানিও ঘটতে পারে।

রাজধানীর খিলগাঁও, গোড়ান, বাসাবো, শাহজাহানপুর, ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, কাকরাইল, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, বাংলামোটর, মগবাজার, মৌচাক, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। শুধু তাই নয় রাজধানীর অভিজাত এলাকা ধানমন্ডি, বনানী, গুলশান, বারিধারা, নিকুঞ্জতেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। আর পুরান ঢাকার ঠাটারীবাজার, বাবুবাজার, ইসলামপুর, কাপ্তানবাজার, শ্যামপুর, নবাবপুর, ওয়ারীসহ এসব এলাকার সরু গলিতে তো তারের জটলায় পথচারীদের হাঁটাও দায়।

রাস্তার পাশে মাথার ওপর ইন্টারনেট, ডিস, টেলিফোন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনগুলো জড়িয়ে আছে একসঙ্গে। কোথাও কোথাও ‘জটাতারের’ ভারে নুয়ে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি কিংবা সড়ক বাতির খুঁটি। এসব তার এবং তারের জটা হাঁটার সময় পথচারীদের মাথাও ছুঁয়ে যায়। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ২০১৪ সালের অক্টোবরে এসব তার অপসারণে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ। এরপর তাত্ক্ষণিকভাবে কিছু কিছু এলাকার তার সরানোও হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে একই জায়গা দিয়ে আবারও টানা হয়েছে অসংখ্য তার। ফলে আবারও তারের জটলা বেঁধেছে খুঁটির মাথায়। এক খুঁটি থেকে আরেক খুঁটিতে অসংখ্য তার ঝুলে রয়েছে। এসব তারের ভারে বৈদ্যুতিক বা সড়ক বাতির খুঁটিগুলো একে অপরের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। সেবা সংস্থার তার টানার ক্ষেত্রে নীতিমালা না থাকায় এক সংস্থা অন্য সংস্থার খুঁটি ব্যবহার করে অবৈধভাবে ইচ্ছেমতো তার টানছে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, রাজধানীর অনেক এলাকায় ইতিমধ্যে সার্ভিস লাইন মাটির নিচে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ইন্টারনেট বা ডিস লাইনের তার মাটির নিচে কীভাবে নেওয়া হবে সে ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে পর্যায়ক্রমে সব ধরনের সার্ভিস লাইন মাটির নিচে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর