গাজীপুরে অবৈধভাবে তৈরি হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অসাধু মালিকরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবাধে তৈরি করছে এসব গাড়ি। আর চালাচ্ছেন অদক্ষ চালকরা। সড়কে এসব গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকায় সিটি করপোরেশন কোনো ট্যাক্স আদায় করছে না। বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ব্যাটারিচালিত গাড়ি উৎপাদন বন্ধে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ না নেওয়ায় যত্রতত্র বাজারজাত হচ্ছে এসব গাড়ি।
গাজীপুরে ৩০ থেকে ৪০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক গাড়ি চলাচল করছে। এসব গাড়ি সড়কে কিংবা মহাসড়কে চলাচলের কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযান চললেও তা আবার নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে তৈরি হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক। এর মধ্যে টঙ্গী মিলগেট এলাকায় নেহা এন্টারপ্রাইজ, সমতা অটো মোবাইলস, সুন্দরবন মটরস, চেরাগআলী এলাকায় বিসমিল্লাহ ডিজিটাল অটো, বিশ্বওলি অটোরিকশা ও সাইকেল স্টোর, সাকিল সাইকেল হাউস, বড়বাড়ি তারগাছ এলাকায় টিকিন মটরস, জয়দেবপুর এলাকায় ফ্রেসটেডসহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধে তৈরি হচ্ছে এসব গাড়ি। অটোরিকশার মালিক ফজর আলী বলেন, আমরা এলাকাভিত্তিক মালিক সমিতিকে টাকা দিয়া গাড়ি চালাই। মাঝে মধ্যে ট্রাফিক পুলিশ আটকালে রেকার বিল হিসেবে আট শত টাকা দেই। সরকারিভাবে আমাদের গাড়ি চলাচলে রোড পারমিট বাবদ বাৎসরিক ট্যাক্স ধার্য করলে আমরা পুলিশ হয়রানি এমনকি মালিক সমিতির লোকজনের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতাম। নেহা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার ফারুক বলেন, অনেক বেকার যুবক এই গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। তাই এই গাড়ি চলাচলে একটি সুষ্ঠু নীতিমালা করা উচিত। গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান বলেন, এসব গাড়ি অবৈধভাবে চলছে। এই গাড়ি চলাচল বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোগুলোর উৎপাদন বন্ধের বিষয়ে হাই কোর্টের নির্দেশ থাকায় আমরা এসব গাড়ি থেকে কোনো ট্যাক্স নিচ্ছি না। এসব গাড়ি তৈরির কারখানায় আমরা অভিযান চালিয়ে বিসমিল্লাহ ডিজিটাল অটোসহ বেশ কয়েকটি কারখানা সিলগালা করে দিয়েছি।