মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

চলতি পথে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস

মানিক মুনতাসির

চলতি পথে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস

রাজধানীর জিয়া কলোনি থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের ফুটপাথে হাঁটলেই চোখ আটকে যায়। বীরশ্রেষ্ঠদের বীরত্বগাথা ইতিহাস খচিত ম্যুরাল। আর এই ম্যুরালের পাশে আত্মোৎসর্গকারীদের জীবন কাহিনী। মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সাত বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, মোহাম্মদ রুহুল আমিন, মুন্সি আব্দুর রউফ, মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, নূর মোহাম্মদ শেখ, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল এবং মোহাম্মদ হামিদুর রহমানের জীবনী তুলে ধরা হয়েছে খোদাই করা পাথরে। ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ হচ্ছে ১৯৭১ সালে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বোত্কৃষ্ট খেতাব আর সম্মানজনক উপাধি। টাইলস বসানো ফুটপাথ ধরে হাঁটলে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও ঘাস-পাতার মাঝে শোভা পাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সাত বীরশ্রেষ্ঠের বীরত্বগাথা মুক্তিযুদ্ধের গল্প। রৌদ্রোজ্জ্বল দুপুরে সূর্যের রশ্মি তির্যকভাবে পড়লে ম্যুরালগুলোর সৌন্দর্য বেড়ে যায়।

ফুটপাথে খোদাই করা টাইলস আর পাথরের ওপর রৌদ্রোজ্জ্বল ছবি। ছবিতে চিত্রায়িত নূর মোহাম্মদরা। ছবির নিচে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর পাশের ফলকে তুলে ধরা হয়েছে জন্ম-মৃত্যু, তারিখ, সাল, জন্মস্থান ও বংশ পরিচয়। সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধকালীন কে কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। কোথায় শাহাদাৎ বরণ করেছেন এসব তথ্য।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতেই এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ফুটপাথের বসানো এসব ম্যুরাল সংরক্ষণের জন্য দুই পাশে রয়েছে নিরাপত্তা প্রাচীরও। যারা স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছেন তাদের শ্রদ্ধা জানাতেই এই উদ্যোগ। একদিকে ফুটপাথের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি হচ্ছে তেমনি চলতি পথে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও জানতে পারছে পথচারী। বনানী-এয়ারপোর্ট রোড আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ফুটপাথে চলছে নানা কর্মযজ্ঞ।

সর্বশেষ খবর