মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

কলেজ গেটে সিএনজি স্ট্যান্ড!

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

কলেজ গেটে সিএনজি স্ট্যান্ড!

ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মুমিনুন্নিছা সরকারি মহিলা কলেজ। এর মূল গেটে রয়েছে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড। যদিও গেটের দুই পাশে লেখা রয়েছে ‘পার্কিং নিষেধ, আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ।’ শুধু সিএনজি স্ট্যান্ডই নয়, রয়েছে টং-দোকান। ওপারে ফার্নিচারের ভাসমান দোকান। কয়েক পা এগোলে রয়েছে ভাড়ায়চালিত প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসের (রেন্ট-এ-কার) শত শত গাড়ি।

সব ডিঙিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আসছেন কলেজে। আর পথিমধ্যে অনেকেই উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৯ হাজার শিক্ষার্থীর কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পাঠদান হয়। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের পড়তে হচ্ছে যানজটেও। অবৈধ স্ট্যান্ড, দোকানপাট ও ভাসমান ফার্নিচারের দোকান সরিয়ে নিতে প্রশাসনের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জানা যায়, প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রায় ১০ বছর ধরে চলছে এই অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ যাতায়াত করছে জামালপুর, টাঙ্গাইল, মধুপুর, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন স্থানে। যাত্রী ও চালকদের পদচারণায় জমে থাকে টং-দোকানগুলো। সড়কের ওপারে চৌকি, চেয়ার- টেবিলসহ বিভিন্ন ফার্নিচারের দোকানেও প্রতিদিন রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা। এ ছাড়া পাশেই রেন্ট-এ-কারের স্ট্যান্ড থাকায় সেখানে চালকদেরও আড্ডা জমে। যত্রতত্র যানবাহন রাখায় সেখানে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। তবু কলেজটিতে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন। অনেক সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। সম্প্রতি কথা হয় সুমি, রাবেয়া, মারুফা নামে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে।

তারা বলেন, সিএনজিগুলো এমনভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়, আমরা কয়েকজন মিলে একসঙ্গে ঢুকতে পারি না। এ ছাড়া প্রায়ই অশ্রাব্য কথা শুনে কলেজে ঢুকতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে অনেকেই ইভ টিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। জানতে চাইলে কলেজটির প্রিন্সিপাল প্রফেসর চিত্তরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, প্রশাসনকে জানালে সাময়িকভাবে উচ্ছেদ হলেও কদিন পর আবার পুরনো চেহারা ফিরে পায়। স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেন, খুব দ্রুতই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর