মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
পা ঠ ক প ত্র

বুড়িগঙ্গা ফিরে পাক নবযৌবন

বুড়িগঙ্গা ফিরে পাক নবযৌবন

ঢাকাবাসীর প্রিয় বুড়িগঙ্গার যা কিছু সৌন্দর্য হারিয়ে গেছে, এ জন্য  কত বিলাপ, কত অনুশোচনা জাগে মনে মনে। কোথায় হারিয়ে গেল বুড়িগঙ্গার স্বচ্ছ জল, নির্মল স্রোতধারা— আজ এর কিছুই যে নেই। এই অনুশোচনা জাগে নদীতীরবর্তী সাধারণ মানুষের মনে। যুগে যুগে  শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠে বুড়িগঙ্গাকে তিলে তিলে নিঃশ্বেষ করে দিয়েছেন কারখানার মালিকরাই। ওরাই তো বর্জ্য-আবর্জনা, কেমিক্যাল, যা কিছু আছে এর সবটাই তো ভাসিয়ে দিল বুড়িগঙ্গায়। দখলদারির দখল তো চলেছে সমানে। তাহলে বুড়িগঙ্গা তার  সেই রূপ-যৌবন ধরে রাখবে কেমন করে। নদীর জলে সুশ্রী সুগন্ধ থাকার কথা। কিন্তু  কেমিক্যাল-বর্জ্যের  দূষণে বুড়িগঙ্গার জল আজ কয়লার মতো কালো। আর ছড়াচ্ছে শুধুই দুর্গন্ধ। আজ এই বুড়িগঙ্গা নিয়ে কত ব্যথা, কত যন্ত্রণা জাগে। অথচ একদা বুড়িগঙ্গা ছিল ঢাকা নগরীর বাসিন্দাদের জলপিপাসা আর স্নানের মালা। কালে কালে অযত্ন-অবহেলায় বুড়িগঙ্গা নোংরা হয়ে যাওয়ায় নগরবাসীর আজ বেড়েছে জ্বালা। আজ সহজে কাজ ছাড়া   কেউ তো যায় না বুড়িগঙ্গার কাছে, হাতখানি বাড়িয়ে চায়ও না  বুড়িগঙ্গার জল স্পর্শ করতে। এখানকার জল পান করা আর স্নানের কথা ভুলে গেছে সেই কবে, কত বছর আগে ঢাকাবাসী। এ জন্য দায়ী  তো কতিপয় কল-কারখানার মালিক, যারা কালে কালে বুড়িগঙ্গাকে করেছেন দূষিত-দুর্গন্ধময়। বর্জ্য-আবর্জনা ও কেমিক্যাল ফেলে  ফেলে কয়লার মতো কালো রং করেছে বুড়িগঙ্গার জল। বুড়িগঙ্গার জল এখন দূষিত ও বিষাক্ত। এক অর্থে নদীতীরের শিল্প-কারখানার মালিকরাই এ জন্য দায়ী। তাদের বিচারের মুখোমুখি করে এক বছরের মধ্যে ওদের কাছ থেকে বুড়িগঙ্গার সেই স্রোত, সেই গভীরতা, সেই স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন জল আদায় করা হোক। কর্তৃপক্ষের কাছে এ-ও  অনুরোধ, বুড়িগঙ্গার যা কিছু সৌন্দর্য ছিল তা ফিরিয়ে আনুন। কেননা, এই বুড়িগঙ্গা হলো ঢাকাবাসীর প্রাণের চেয়ে বড্ড প্রিয় এক নদী। প্রথম দেখায়, বুড়িগঙ্গাকে নিয়ে মনে মনে  ভেবেছিলাম : বুড়িগঙ্গা তুমি নবযৌবন, তুমি যে বসন্ত, ভাবের কমল জলে কবিতার ছন্দ। সেই ভাবনা আবার মনে ফিরে পাওয়ার বাসনায় শুধুই দিন যে গুনব। 

লিয়াকত হোসেন খোকন, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর