মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

সেতুর অভাবে লাখো মানুষের ভোগান্তি

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

সেতুর অভাবে লাখো মানুষের ভোগান্তি

রংপুর নগরীর কুকরুল সেতুটি ভেঙেছে আট মাস আগে। সেটি নির্মাণের জন্য কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু চার মাস ধরে সেতুর কাজটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ১৯ গ্রামের এক লাখের বেশি মানুষ। নগরে ঢুকতে যেখানে ১০ মিনিট সময় লাগত, সেখানে এখন চার কিলোমিটার পথ ঘুরে নগরে ঢুকতে সময় লাগে এক ঘণ্টা।

রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি জনবহুল এলাকায় কুকরুল সেতুর অবস্থান। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৫ গ্রাম, পাশের গঙ্গচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের ১০ গ্রাম এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৪ গ্রামের এক লাখের বেশি মানুষ এই সেতু দিয়েই নগরীতে যাওয়া-আসা করত। প্রতিদিন কয়েকশ যানবাহন চলাচল করত। গত বছরের আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় সেতুটি ধসে পড়ে। ফলে নগরীর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। একই বছরের নভেম্বরে সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়রের উদ্যোগে সেখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সেতুটি ভেঙে নতুন করে সেতু নির্মাণ কাজ শুরুর পরপরই আকস্মিক তা বন্ধ করে দেন। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় এলাকার মানুষকে চার কিলোমিটার পথ ঘুরে নগরে যাতায়াত করে হচ্ছে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয় হচ্ছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরাও সময়মতো স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না।

নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ময়নাকুঠি এলাকার আইনুন নাহার কাকলী সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজের ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, বাড়ি থেকে অটোরিকশায় কলেজে যেতে ভাড়া লাগত পাঁচ টাকা। সেতুটির অভাবে এখন কয়েক কিলোমিটার ঘুরে কলেজ যেতে ১৫ টাকা ভাড়া দিতে হয়। এতে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয় হচ্ছে। 

খটখটিয়া এলাকার স্কুলশিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে কোনোরকমে যাতায়াত করা যাচ্ছে। সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে। তখন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।

২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেকেন্দার আলী জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, হঠাৎ করে নির্মাণসামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ঠিকাদার কাজ বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন। তবে কয়েকদিন আগে মেয়র মহোদয় সেতু এলাকা পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে  কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।

সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে সেতুর নির্মাণ কাজ পিছিয়ে গেছে। তাকে দ্রুত কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে তার কার্যাদেশ বাতিল করে অন্য ঠিকাদার দিয়ে সেতুটি নির্মাণ        করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর