মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

চসিকের আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চসিকের আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার

চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদে ৩৪ জনের নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এখন এটির অনুমোদন দেবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন শেষে পরীক্ষাগারে এসব জনবল নিয়োগ হবে। তখন এটি কার্যকর একটি খাদ্য পরীক্ষাগারে পরিণত হবে।’

 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার জনবল সংকট, প্রকল্প শেষ হওয়াসহ নানা সংকটে ছিল। অবশেষে পরীক্ষাগারটি আলোর মুখ দেখছে। নিয়োগ পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, কেমিস্ট, সহকারী কেমিস্ট, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, কোয়ালিটি এস্যুরেন্স অফিসার এবং তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণী মিলে ৩৪ জনবল।

চসিক সূত্র জানায়, আরবান পাবলিক অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (ইউপিইএইচএসডিপি) আওতায় এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে নগরের বিবিরহাটে নির্মিত হয় দেশের দ্বিতীয় আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার। এটি এখন ১৯ জন নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ পরীক্ষাগারে বিভিন্ন পদে ৩৪ জনের নিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়। চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩৪ জনের নিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এখন এটির অনুমোদন দেবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন শেষে পরীক্ষাগারে এসব জনবল নিয়োগ হবে। তখন এটি কার্যকর একটি খাদ্য পরীক্ষাগারে পরিণত হবে।’    

সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার স্থাপন প্রকল্প হাতে নেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এডিবির অর্থায়নে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ইতিমধ্যে দুই শহরেই ৬৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার স্থাপিত হয়। ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর বিবিরহাটে চট্টগ্রামের খাদ্য পরীক্ষাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খাদ্যের ভেজাল শনাক্ত ও গুণাগুণ নির্ণয়ে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ৮২টি যন্ত্রপাতি কেনা হয়। স্থাপিত হয়েছে পৃথক ছয়টি ল্যাব। আধুনিক এই পরীক্ষাগারে দুধ ও দুধ জাতীয় পণ্য, মিষ্টি ও মিষ্টি জাতীয় পণ্য, কার্বনাটেজ ভেবারেজ, জুস জাতীয় পণ্য, ড্রিংকিং ওয়াটার, সস জাতীয় পণ্য, মসলা পণ্য, স্ন্যাকস ফুড, বেকারি পণ্য, আইসক্রিম, ড্রাই স্যুপ, নুডলস, পাস্তা, আটা, ময়দা, সুজিসহ ২০ প্রকারের খাবার টেস্ট করা হবে।

জানা যায়, দৈনন্দিন জীবনে খাবারের ভেজাল ও জীবাণু চিহ্নিত করতে নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার। গত বছর থেকে এটি পরীক্ষামূলক চালু করা হয়। পরীক্ষাগারটি পূর্ণাঙ্গরূপ পেলে খাবারে ভেজালরোধ, খাদ্যে বিষক্রিয়া পরীক্ষা ও অনুমোদনহীন পণ্য নিয়ে গ্রাহকদের সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া হবে। নিশ্চিত করা হবে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। উৎপাদন ও ক্রয়-বিক্রয় হবে ভেজালমুক্ত খাদ্য।

সর্বশেষ খবর