মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজে দুর্ভোগ

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজে দুর্ভোগ

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) চলমান উন্নয়ন কাজ প্রশংসা কুড়াচ্ছে নগরবাসীর। সড়ক প্রশস্তকরণ ও ছড়া-খাল উদ্ধারের সুফলও পেতে শুরু করছেন নগরবাসী। একইসঙ্গে অনেক অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজও নগরবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিকল্পিতভাবে এসব উন্নয়ন কাজ করলে নগরবাসী ভোগান্তি ছাড়াই এর সুফলভোগ করতে পারতেন বলে মনে করছে নাগরিক সমাজ।

সিলেট নগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার সড়ক। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই সড়কের তিনতারা মার্কেটের সামনের সরু কালভার্ট ভেঙে বক্সকালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু করে সিটি করপোরেশন। নির্মাণ কাজের জন্য ওই সড়কে বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। ব্যস্ততম এই সড়কের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে নগরভবন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা জজ কোর্ট, অগ্রগামী বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই সড়ক ব্যবহারকারীদের।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, কালভার্টটি নির্মাণে আরও দেড় মাসের বেশি সময় লাগবে। সড়ক কেটে দীর্ঘদিন ধরে  কালভার্ট নির্মাণ কাজ করলেও যান চলাচলের বিকল্প কোনো রাস্তা রাখেনি সিসিক কর্তৃপক্ষ। রাস্তার দুই পাশে অপ্রশস্ত ফুটপাথ দিয়ে শুধু পথচারীদের হাঁটাচলার ব্যবস্থা রেখেই দায় সেরেছেন তারা। সরু ফুটপাথ দিয়ে  হাঁটতে গিয়েও নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ লোকজনদের। এদিকে বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে সড়ক বন্ধ করে কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু করায় বন্দরবাজার থেকে জিন্দাবাজার ও আম্বরখানাগামী যানবাহনগুলো এখন তালতলা, লামাবাজার ও রিকাবিবাজার ঘুরে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ফলে ওইসব সড়কেও তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। অথচ পুরো রাস্তা না কেটে এক অংশ এক অংশ করে কালভার্ট নির্মাণের কাজ করলে এই দুর্ভোগ সৃষ্টি হতো না বলে মনে করছেন ভোগান্তিতে পড়া লোকজন।

নগরীর কামালগড় থেকে আসা অগ্রগামী বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর মা জানান, কালভার্ট নির্মাণ কাজের জন্য কোর্ট পয়েন্টেই রিকশা ছেড়ে আসতে হয়। আবার ফেরার সময়ও কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে রিকশায় উঠতে হয়। এতে প্রতিদিনই মেয়েকে নিয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, কালভার্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হতে আরও মাস দেড়েক সময় লাগবে। এই সময় পর্যন্ত ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লোকজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে তিনি দুঃখ প্রকাশও করেন। সড়কের একপাশে অন্তত রিকশা চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রেখে কাজটি করা যেত কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘এমন ব্যবস্থা রাখা যেত। কিন্তু তখন রিকশা, ভ্যানগাড়ি আর মোটরসাইকেলের চাপ বেড়ে যেত। এতে দুর্ঘটনারও আশঙ্কা থাকত। তাই বিকল্প ব্যবস্থা করতে যাইনি আমরা। আর জনসাধারণের রাস্তা পারাপারের জন্য আমরা সড়কের উভয় পাশে দুই হাতের ওপর জায়গা রেখেছি।’

সর্বশেষ খবর