মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্যস্ত সড়কের দুর্ভোগ কালভার্ট

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

ব্যস্ত সড়কের দুর্ভোগ কালভার্ট

চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক বহদ্দার হাট চকবাজার-সিরাজুদ্দৌলা রোড হয়ে আন্দরকিল্লা। এ সড়কের সিরাজুদ্দৌলা রোডের চন্দনপুরায় নির্মাণ করা হচ্ছে একটি কালভার্ট। এ কারণে ব্যস্ত সড়কের একপাশ বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। ফলে প্রতিনিয়তই লেগে থাকে যানজট। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ১ কোটি ২৫  লাখ টাকায় কালভার্টটি নির্মাণ করছে। কাজের মেয়াদকাল আগামী ৩০ এপ্রিল।  

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের ধীর গতির কারণে কালভার্ট নির্মাণ কাজ শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে। এক মাস আগে পুরাতন কালভার্টটির অংশবিশেষ ভাঙা হলেও কাজ এগোচ্ছে না। উন্নয়নের স্বার্থে আমরা কষ্ট সহ্য করতে প্রস্তুত। কিন্তু তা যদি কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ধীর গতিতে কাজ চলে, তাহলে তো প্রশ্ন উঠবেই। মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে।    

স্থানীয় বাসিন্দা ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘উন্নয়ন কাজ ধীর গতিতে করার একটি প্রবণতা আছে। তিন মাসের কাজ ছয় মাসে, শুষ্ক মৌসুমের কাজ বর্ষা মৌসুমে এবং রাতের কাজ দিনের বেলায় করা হয়। ফলে সাধারণ মানুষকে অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মনে হয় এ নিয়ে কারও কোনো দায় নেই।’

চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা বলেন, ‘কালভার্টটির কিছু অংশ ভাঙার পর দেখা যায় সেখানে চট্টগ্রাম ওয়াসা এবং গ্যাসের পাইপলাইন আছে। এসব পাইপলাইন সরাতে দুই প্রতিষ্ঠানকেই চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা তা না করায় সেখানে কাজ করা যাচ্ছে না। পাইপ লাইনগুলো সরানোর পর পুরো কালভার্টটি ভাঙাসহ পুরোদমে কাজ চলবে।’ তিনি বলেন, ‘আগের ব্রিজটির ভিত্তি খুবই দুর্বল। কোনো লোহা ছাড়াই ব্রিক দিয়ে করা হয়েছিল। দুই পাশে ওয়াল না করে শুধু স্লাব বসানো হলে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই পুরনো ব্রিজকে সম্পূর্ণ ভেঙে লোহা দিয়ে আরসিসি করে স্লাব তৈরি করা হবে। তবে এসব কাজ করতে বেশি সময় লাগবে না।’

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, চন্দনপুরা মসজিদের সামনে পুরনো ব্রিজের কিছু অংশ ভাঙা হয়েছে।

দুই পাশেই পুরনো ও নতুন ইটের স্তূপ এবং লোহা রাখা হয়েছে। নির্মাণ কাজের জন্য সিরাজুদ্দৌলা রোডের পশ্চিমাংশের দারুল উলুম মাদ্রাসা মোড় থেকেই যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফলে সিরাজুদ্দৌলা রোডের পূর্ব পাশ দিয়েই চলাচল করছে উভয়দিকের (চকবাজার ও আন্দরকিল্লাহমুখী) গাড়ি। এক অংশ দিয়ে দুদিকের গাড়ি চলাচল করায় সেখানে যানজট লেগে থাকে। তাছাড়া যানজট এড়াতে চকবাজারমুখী কিছুৃ গাড়ি দারুল উলুম মাদ্রাসা রোড দিয়ে প্রবেশ করে।

সর্বশেষ খবর