মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

বয়লারে চলছে শিল্প কারখানা

টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু কলকারখানায় গ্যাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ঝুঁকিমুক্ত বয়লার। গাজীপুরে প্রায় অর্ধশত কয়লা ও ঝুটের বয়লার রয়েছে।

আফজাল, টঙ্গী

বয়লারে চলছে  শিল্প কারখানা

গাজীপুরে কয়লার ও ঝুটের বয়লারে চলছে বিভিন্ন কারখানা। কারখানা মালিকরা গ্যাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছে এসব বয়লার। দিন দিন বয়লারের চাহিদা বেড়েই চলেছে। গ্যাসের দাম বাড়লে বয়লালের চাহিদা আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন কারখানা মালিকরা।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু কলকারখানায় গ্যাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ঝুঁকি মুক্ত বয়লার। গাজীপুরে প্রায় অর্ধশত কয়লার ও ঝুটের বয়লার রয়েছে। কিছুটা দূষণ হলেও অনেকটাই ঝুঁকি মুক্ত। অনেক সময় গ্যাসের চাপ না থাকলে উৎপাদনে ব্যাহত ঘটে, কিন্তু কয়লার ও ঝুটের বয়লারে চাহিদা  মেটে। যে কারণে কারখানা কর্তৃপক্ষ চাহিদা মোতাবেক গ্যাস না পেয়ে তিতাস গ্যাস ও সিলিন্ডার গ্যাসের পাশাপাশি ব্যবহার করছে এসব বয়লার। তবে কিছু কিছু কারখানায় নেই পরিবেশ ও অগ্নিনির্বাপক ছাড়পত্র। নেই বয়লার স্থাপনের পর্যাপ্ত জায়গা। এর মধ্যে টঙ্গীর সিলমুন এলাকায় স্প্রাইডার গ্রুপের এফজেএস লন্ড্রি ওয়াশিং কারখানায় ব্যবহার হচ্ছে ঝুটের বয়লার। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় কারখানার পাশে রাস্তার ওপর ঝুট রেখে বয়লার চালাচ্ছে। এতে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, বিষয়টি দেখার কেউ নেই। টঙ্গী বিসিক রব্বানি ওয়াশিং কারখানার মালিক মাহাবুব রব্বানি বলেন, আমরা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করি। এতে আমাদের চাহিদা মেটে না, ফলে আমরা অটো কয়লার বয়লার ব্যবহার করি। পরিবেশবান্ধর আমার এই কারখানায় দক্ষ বয়লার অপারেটর দিয়ে তা পরিচালনা করা হয়। আগের তুলনায় উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে প্রধান বয়লার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, এসব বয়লারে তেমন একটা দূষণ হয় না। তাছাড়া গ্যাসের বয়লারের চেয়ে এসব বয়লারে ঝুঁকিমুক্ত। তবে রক্ষণাবেক্ষণের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। গাজীপুরের শিল্প মালিকরা এখন বয়লারের দিকে ঝুঁকছেন।

সর্বশেষ খবর