শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

শৃঙ্খলা ফেরেনি চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

শৃঙ্খলা ফেরেনি চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ‘ক্লিন ও গ্রিন’ সিটি গড়তে বর্জ্য অপসারণে ‘ডোর টু ডোর’ পদ্ধতি শুরু করে। এর বাস্তবায়নে নেওয়া হয় বৃহৎ পরিকল্পনা। কিন্তু এখনো শহরের এখানে-সেখানে চোখে পড়ে স্তূপ করা ময়লা। জনবল নিয়োগ দিয়ে বিশাল বহরে কাজ শুরু হলেও বাণিজ্যিক নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ফেরেনি শৃঙ্খলা। 

চসিক সূত্রে জানা যায়, নগরের ৪১ ওয়ার্ডে বিতরণ করা হয়েছে আট লাখ ৬০টি ডাস্টবিন। মহল্লা ও আবাসিক এলাকাগুলোতে চাকা ও ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিন বসানো হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। অপসারণ করা হয়েছে ৬শ খোলা ডাস্টবিন। ডোর টু ডোর কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী। বর্জ্য অপসারণে দেওয়া হয়েছে ৮শ রিকশা ভ্যান। এর ফলে প্রতি মাসে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। তবুও অনেক ক্ষেত্রেই আগের পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর মেয়র সিভিল সোসাইটি কো-অর্ডিনেশন’ কমিটির সভায় এক মাসের মধ্যে ৭৫০টি খোলা ডাস্টবিন সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো খোলা ডাস্টবিন দৃশ্যমান। অভিযোগ আছে, রাতের বেলায় বর্জ্য অপসারণের কথা থাকলেও দিনের বেলায়ও করা হয়। বাসা বাড়ি থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়মিত বর্জ্য নিয়ে যাচ্ছে না। অনেক আবাসিক এলাকায় এখনো ৩০-৫০ টাকায় বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী বলেন, ‘বর্তমান মেয়র ক্লিন ও গ্রিন সিটি গড়তে মনযোগী বেশি। এ জন্য অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সমস্যা থেকে যায়। এ ব্যাপারে আমরা নিয়মিত তদারকি করে থাকি। কাজে অনিয়ম ঠেকাতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও কঠোর মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে।’ সরেজমিন জানা যায়, নগরের কিছু স্থানে এখনো খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলা হয়।

এর মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের পশ্চিম সড়ক, নগরের জহুর হকার্স মার্কেটের পূর্ব পাশের মোড়, সাব এরিয়া ব্রিজের ওপর, সিনেমা প্যালেস মোড়ের দক্ষিণে, বিআরসিটি মোড়ের উত্তরে বড় অংশজুড়ে সব সময় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে আবর্জনা। এ ছাড়া নগরের হালিশহরের বড় পুল, নয়া বাজার, ডিটি রোড, মনসুরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় পড়ে থাকে আবর্জনা।

চসিক সূত্রে জানা যায়, চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে ৩ হাজার ৪৪৫ জন কর্মী আছে। এর মধ্যে স্থায়ী মাত্র ৭০০ জন, বাকিরা ক্যাজুয়াল ভিত্তিতে কাজ করছেন। এর মধ্যে ডোর টু ডোর প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ দেওয়া হয় এক হাজার ৭৫০ জন। দৈনিক গড়ে দুই হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এসব বর্জ্য অপসারণ করে সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশন স্টেশনে (এসটিএস) নেওয়া হয়। পতেঙ্গা, পোর্ট মার্কেট, সাগরিকা, বরিশাল কলোনি, টাইগারপাস, এফআইডিসি সড়কে ছয়টি এসটিএস রয়েছে। এসটিএস থেকে ডাম্পিং ট্রাকের মাধ্যমে অপসারণ করে ল্যান্ডফিল্ডে নেওয়া হয়। নগরীতে আরেফিন নগর ও হালিশহরে দুটি ল্যান্ডফিল্ড রয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর